আজ || মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
 


সরকার লাইফ সাপোর্টে বেঁচে আছে : তরিকুল ইসলাম

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম সরকার লাইফ সাপোর্টে বেঁচে আছে উল্লেখ করে বলেছেন, সেনাবাহিনী শক্তিশালী হোক এটা সবার কাম্য। অস্ত্র কেনার বিষয়ে সেনাবাহিনী সংবাদ সম্মেলন করার পরেও কেন পুনরায় প্রধানমন্ত্রীকে সংবাদ সম্মেলন করতে হয়?
প্রশ্ন করে তিনি বলেন, তার মানে কি কোথাও কোন সংশয় আছে?

বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী  দলের (বিএনপি) কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত ‘জিয়াউর রহমানের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালী’র সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যুক্তি দেখিয়েছেন সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনা হয়েছে । কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া পুজিঁবাদি ছিল না। এখন রাশিয়া পুজিঁবাদি দেশ । তাই তাদের সাথে আমেরিকার কোন পার্থক্য নেই।

তিনি স্বরাষ্টমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, বিরোধীদলের চীফ হুইপকে লাঞ্চিত করার জন্য নাকি ডিসি হারুনকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেয়ার জন্য বিবেচনা করা হয়েছে । তিনি কিভাবে এই ব্যাখ্যা দিলেন সেটা দেশের কোন সভ্য মানুষেরই বোধগম্য হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় চীফ হুইপকে লাঞ্চিত করে দেশের সংসদ ভবনকে অপমানিত করা হয়েছে।
তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভেবে দেখুন, ডিসি হারুনকে পুরস্কার দিলে আরো অনেক পুলিশই পুরস্কার দাবি করতে পারে । যে পুলিশেরা নিরিহ শিক্ষকদের উপরে পেপার স্প্রে করলো, পেপারের মাধ্যমে দু’জন শিক্ষক হত্যা করলো তারাও যেকোন সময় পুরস্কার দাবি করতেই পারে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, দ্রব্যমূলের উর্ধবগতির কারনে অসহায় মানুষ, টেন্ডারবাজি, ভূমিদস্যুতা, ছাত্রলীগের তান্ডব, মেয়েদের সম্ভ্রমহানি, আইনের দুঃশাসন, তেল-গ্যাস-বিদ্যুত-বাড়িভাড়া বৃদ্ধি ইত্যাদি কারনে দেশের মানুষ আজ নারকীয় কষ্ট ভোগ করছে । দেশে সাধারন মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, আন্দোলন করলেও নির্যাতন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের কারনে দেশের সংবিধান পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে হুশিয়ারী করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অবিলম্বে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল করুন, তা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়ে দেয়া হবে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ন মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে বর্ণাঢ্য র‌্যালীটি পল্টন থেকে মগবাজারের উদ্দেশে যাত্রা করে।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!