পুরান ঢাকায় নিহত বিশ্বজিত দাসের লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেন, বিশ্বজিত হত্যাকান্ডের ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে প্রতিবেদনের মিল নেই। পরে আদালত দ্রুত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়। বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে সকালে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিতসক ডা. মাকসুদুর রহমান ও সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশের এসআই জাহিদুল হক হাজির হন। আদালতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজের ফুটেজও উপস্থাপন করা হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদারের কাছে জানতে চান, ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে কি বিশ্বজিতকে যথাযথ চিকিতসা দিয়েছিল কিনা? জবাবে অমিত তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে সঠিক কোনো তথ্য নেই। তবে তিনি বলেন, সকাল নয়টা ২৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর ২৫ মিনিট পর নয়টা ৫০ মিনিটে মারা যায়। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কি না আদালতের এমন প্রশ্নে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিতসক বলেন, আমি পৌনে দুইটায় লাশ পরীক্ষা করেছি। শরীরে আঘাতের চিহ্ন যা পেয়েছি তাই লিখেছি। পরে আদালত শুনানি মুলতবি করে।