এর আগে সকাল ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে খুলনার খালিশপুরে নৌবাহিনীর ঘাঁটি তিতুমীরে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল জহিরউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর শিপইয়ার্ডের পাশে রূপসা নদীতে এই যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই জাহাজ যুদ্ধের সময় নৌবহরে সমরাস্ত্র সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নৌবাহিনীকে অধিকতর কার্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বিদেশ থেকে ১১টি যুদ্ধজাহাজ ক্রয় ও খুলনা শিপইয়ার্ড থেকে পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা হচ্ছে। যার প্রথমটি আজ (বৃহস্পতিবার) কমিশনিং করা হলো।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে কেউ আঘাত করলে মোকাবেলা করব। এজন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ডিটারেন্ট ফোর্স হিসেবে গড়ে তুলতে শিগগির সব ঘাঁটিতে সাবমেরিন সংযোজন করা হবে।”
তিনি বলেন “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আধুনিক ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গড়ে তুলব যা যুদ্ধের সময় নিজ জলসীমার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।”
তিনি বলেন, “মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধে যেভাবে আমরা জয়ী হয়েছি, সেভাবে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধেও আমরা জয়ী হব ইনশাল্লাহ।”
এ সময় বানৌযা পদ্মার অধিনায়ককে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জাহাজে উঠে সেটি ঘুরে দেখেন।
সফরসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী দুপুর দুইটায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে জনসভায় ভাষণ দেবেন। খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করেছে।
জনসভায় ভাষণ দেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী খুলনা সার্কিট হাউস ময়দান থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে খুলনার ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এগুলো হলো- ১০ বছর ধরে বন্ধ দৌলতপুর জুট মিল পুনরায় চালু, নবনির্মিত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক কমপ্লেক্স, ৬০০ আসনের বঙ্গবন্ধু হল নির্মাণ ও ছাত্রদের জন্য ওয়েলফেয়ার সেন্টার নির্মাণ, ক্রিকেট টেস্ট ভেন্যুর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র ও ছাত্রী হল নির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘অদম্য বাংলা’, খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের হোস্টেল, খুলনা ওয়াসা ভবন, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নামে ছাত্রীহল ও খুলনা শিশু হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মণ।