এ সময় অনুমান নির্ভর প্রতিবেদন পরিহার করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
একটি দৈনিকের প্রতি ইঙ্গিত করে গোলাম রহমান বলেন, ‘ওকাম্পোকে আমরা চিঠির জবাব পাঠিয়েছি বলে একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অথচ তখনও আমরা চিঠির জবাব দেইনি।’
‘এমনকি চিঠিতে কী জবাব দেওয়া হয়েছে, তা-ও মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে’ অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার দুদকের মিডিয়া সেন্টারে ’দুদক আইনবিধি ও বিচার প্রক্রিয়া’ বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
সাংবাদিকদের নিয়ে রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশন (র্যাক) এর উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
গোলাম রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতু সংক্রান্ত বিভিন্ন অনুমান নির্ভর প্রতিবেদনে অনেক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে, যা আমাদের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘পত্রিকার প্রতিবেদনের কারণে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের মধ্যেও সংশয় দেখা দিয়েছিল। পরে আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের প্রতিবেদনের ওপরেও দুদকের তদন্ত কার্যক্রম নির্ভর করে। তাই সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আসে। এক্ষেত্রে আমরা অনেক সতর্কতার সাথে অভিযোগগুলো পর্যবেক্ষণ করে থাকি। যাতে কেউ অকারণে হয়রানির শিকার না হয়।’
র্যাকের সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও মো. বদিউজ্জামান।