সম্মুখযুদ্ধে নারী সেনাদের অংশগ্রহনের উপর যুক্তরাষ্ট্রে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা তুলে নেবে মার্কিন সেনাবাহিনী।
এটা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়ন প্যানেট্টা ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মার্কিন সেনার সংখ্যা অনেক বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
নারীরা এলিট কমান্ডো হিসেবেও মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ পাবে। তবে তারপরও কোন নির্দিষ্ট পদ নারীদের জন্য বন্ধ রাখার ক্ষমতা সেনাবাহিনী পাবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন প্রথমে এ সম্পর্কিত নীতিমালা পরিবর্তন হবে। তারপর সেনাবাহিনীতে সেটি কার্যকর করতে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে।
নারী সেনারা সম্মুখ যুদ্ধে বিভিন্ন পদে কিভাবে নিয়োগ পাবেন তা নিয়ে সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের ১৫ মের মধ্যে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত মার্কিন নারী সেনারা যুদ্ধের সময় মিলিটারি পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স, সামরিক প্রশাসন এবং চিকিতসার কাজ করে আসছিলেন।
১৯৯৪ সালে এক আইন করে মার্কিন সেনাবাহিনীতে নারীদের সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
গত নভেম্বরে সেনাবাহিনীর চারজন নারী এই নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
নীতিমালা পরিবর্তনের পরও অবশ্য কোনও নির্দিষ্ট ধরনের পদ নারীদের জন্য বন্ধ রাখা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে সময় দেয়া হচ্ছে।
এক বছর আগে পেন্টাগন নারীদের জন্য ১৪,০০০ নতুন চাকুরির সুযোগ ঘোষণার পর এই সিদ্ধান্ত আসছে। তখনও সম্মুখযুদ্ধে নারীরা নিষিদ্ধ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ও ইরাকে ২ লাখ ৮০ হাজার নারী সেনা মোতায়েন করেছিল যা মোতায়েনকৃত মোট সেনার ১ শতাংশ। ওই দুটি দেশে যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের মধ্যে ২ শতাংশ নারী।
৩৭,০০০ অফিসারসহ মার্কিন সামরিক বাহিনীতে সক্রিয় নারী সদস্যের সংখ্যা ২ লাখ।
এর আগে ওবামা প্রশাসন সেনাবাহিনীতে চাকুরির ক্ষেত্রে সমকামীদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা তুলে নেয়।
সূত্র : বিবিসি ও আল জাজিরা