এই মুহূর্তে খুচরা বা পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) একটি সূত্র নতুন বার্তা ডটকমকে জানিয়েছে, গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে বিইআরসি’র সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করে। অবশেষে বুধবার রাতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিইআরসি বৈঠক করে। বৈঠকে বিইআরসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ইমদাদুল হক এবং সদস্য ড. সেলিম মাহবুব ও প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিইআরসি সূত্রে আরো জানা যায়, সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী আপতত বিদ্যুতের কোনো প্রকার দাম না বাড়ানোর নির্দেশ দেন বিইআরসিকে। বিদ্যুৎ বিপণন কোম্পানিগুলোর লোকসান ঠেকাতে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রদানেরও সিদ্ধান্ত জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে দেশের পাঁচটি বিপণন কোম্পানি বিইআরসি’কে প্রস্তাব দেয়। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো), ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি (ডেসকো) এবং ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি।
শুনানিতে পিডিবির ১২ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিপরীতে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ওজোপাডিকোর ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশের বিপরীতে ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, ডেসকোর ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশের বিপরীতে তিন দশমিক ৩০ শতাংশ, ডিপিডিসির ১১ দশমিক ৩১ শতাংশের বিপরীতে তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসি’র কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
শুনানিতে অংশগ্রহণ করে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুককারক ও রফতানিকারক সমিতি(বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি।