ইরানের মহাকাশ সংস্থার বা আইএসএ প্রধান হামিদ ফাজেলি বলেছেন, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে পিশগাম বা অভিযাত্রী নামের বায়ো-ক্যাপসুলে করে প্রাণী পাঠানোর চূড়ান্ত পরীক্ষা এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ৩৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দশদিনব্যাপী অনুষ্ঠান ‘আলোকোজ্জ্বল দশ প্রভাত’ উদযাপনকালে এই এ বায়ো-ক্যাপসুল উতক্ষেপণ করা হবে। মানুষ ও বানরের মধ্যে দৈহিকভাবে মিল থাকায় উতক্ষেপণের জন্য বানরকেই বেছে নেয়া হয়েছে বলে জানান হামিদ ফাজেলি।
তিনি আরো জানান, আগামী পাঁচ থেকে আট বছরের মধ্যে ইরান প্রথম মহাকাশে মানুষ পাঠাবে।
এ ছাড়া, চলতি ফার্সি বছরের মধ্যেই ইরানের তৈরি শারিফসেট নামের উপগ্রহ কক্ষপথে পাঠানো হবে। মার্চের ২০ তারিখে শেষ হবে চলতি ফার্সি বছর।
ইরান ২০১১ সালের মার্চে সফলভাবে মহাকাশে জীবন্ত প্রাণী পাঠানো এবং উপগ্রহ বহন উপযোগী কাভেশগার-৪ নামের রকেট উতক্ষেপণ করে।
২০০৯ সালে ইরান প্রথম নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ‘উমিদ’ বা ‘আশা’ উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছিল। ওই উপগ্রহটি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৫ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এবং ভূ-পৃষ্ঠে স্থাপিত কেন্দ্রে তথ্য-উপাত্ত পাঠায়। এরপর ২০১১ সালের জুন মাসে ‘রাসাদ’বা ‘পর্যবেক্ষণ’ নামের আরেকটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায় ইরান এবং এটি প্রথমবারের মতো মহাকাশ থেকে ভূ-পৃষ্ঠের ছবি তুলে ইরানে পাঠায়।
একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইরানের সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে নাভিদ বা সুসংবাদ নামের একটি উপগ্রহ পাঠায়।
রেডিও তেহরান