আজ || রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর        গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন       ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগকে এদেশের মানুষ মাথা তুলে দাড়াতে দিবেনা : সালাউদ্দীন আহমেদ    
 


এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে ভারত

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওডিআই সিরিজের প্রথমটায় পরাজয়ের পর  ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোচির দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর রাঁচিতেও জয়ী হয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে।

মোহালির ম্যাচটায় জয়ের মধ্য দিয়ে ধর্মশালার শেষ ওডিআইটাকে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে রূপান্তরিত করার ইচ্ছা ছিল স্বাগতিকদের, ঘটেছেও তাই। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে ভারত। সেই সাথে ভারতের মাটিতে ওডিআই সিরিজে ইংল্যান্ডের পরাজয়ের গ্লানিটায় আরো একটি সিরিজ যোগ হলো।

মোহালিতে পাঁচ  উইকেট হাতে রেখেই ২৫৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় স্বাগতিক দল। শুরুটা কোনোভাবেই ভালো বলা যাবে না। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দলীয় স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান জমা হতেই ব্যক্তিগত ১০ রানে টিম ব্রেসনানের আউটসুইংগারে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন গৌতম গম্ভীর। আজিংকা রাহানের জায়গায় ওপেনিংয়ে নামা রোহিত শর্মা একপ্রান্ত আগলে রাখলেও রাঁচির ম্যান অব দ্য ম্যাচ বিরাট কোহলি ২৬ রানে ট্রেডওয়েলের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিলে ৭২ রানের মাথায় স্বাগতিক দলের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। যুবরাজ সিং তিন রান করে সাজঘরের পথ ধরার সময়ে ভারতের স্কোরবোর্ড ১০০ রানের কোটাও পার হয়নি। এই অবস্থা থেকে দলকে ধীরে ধীরে টেনে নিয়ে যান রোহিত শর্মা এবং সুরেশ রায়না। রোহিত ৯৩ বলে খেলেন ৮৩ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস।

ফিনের বলে লেগ বিফোর উইকেট হবার আগে ১১টি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে। রোহিত ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে দলের বিপর্যয় কাটানোর পর বাকি কাজটা সারেন সুরেশ রায়না। অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলার পথে তিনি বল খরচ করেন ৭৯টি। বাউন্ডারি হাঁকান নয়টি, ওভার বাউন্ডারি একটি।

কিছুটা সময়ের জন্য সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ডানহাতের বৃদ্ধাংগুলে চোট নিয়েও খেলতে নামা ভারত সেনাপতি ডার্নবাখের বলে মরগানের তালুবন্দি হওয়ার আগে দুই বাউন্ডারিতে করেন ১৯ রান।

অধিনায়ক আউট হবার পর রবীন্দ্র জাদেজা একপ্রান্ত থেকে সমর্থন যুগিয়ে যান রায়নাকে। রায়নার সাথে ২১ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে ফেরেন জাদেজা। তখনো ইনিংসের বাকি   ১৫ বল। পাঁচ উইকেটের জয় পায় ভারত। ফলে ইতোমধ্যে সিরিজ জেতা হয়ে গেছে স্বাগতিকদের। কারণ পাঁচ ম্যাচ সিরিজে এখন ৩-১ ব্যবধান। ধর্মশালার শেষ ম্যাচে সফরকারীরা জিতলেও সেটা হবে সান্ত্বনার জয়।

টসজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাট করতে নামা সফরকারীদল ইনিংসের মাঝামাঝিতে  বিপর্যয়ের  মধ্যে পড়লেও জো রুটের অপরাজিত ৫৭ এবং কেভিন পিটারসেনের ৭৬ রানের ওপর ভর করে স্কোরবোর্ডে সাত উইকেট খরচায় লড়াই করার মত ২৫৭ রানের সংগ্রহ জমা করেছিল।
শুরুটা ভালো হলেও ইনিংসের মাঝামাঝি সময়টাতে দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল ক্যাপ্টেন কুকের ইংল্যান্ড। তবে জো রুটের পাল্টা আক্রমণে বৃটিশরা আবারো খেলায় ফিরলে ইনিংসটা আড়াইশ রানের কোটা পার হয়। একটা পর্যায়ে এটা অসম্ভব মনে হচ্ছিল।

হারানোর কিছু নেই ভেবেই বোধ হয় জো রুট নির্দয়ভাবে পেটান ভারতীয় বোলারদের। তার ৪৫ বলের ইনিংসে আটবার মাটি কামড়ে এবং একবার উড়ে সীমানা পেরিয়ে যায় বল। তবে ক্যাপ্টেন কুক ৭৬ রান করে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়ে আউট হয়ে যাওয়ার পর ইংলিশদের ঘুরে দাঁড়ানোর কাজটা সারেন কেভিন পিটারসেন।

ইংল্যান্ডের ইনিংস চলাকালে ম্যাচের ওপর ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকলেও শেষ দশ ওভারে স্বাগতিক বোলাররা দেন ১০০ রান। রুট এবং পিটারসেন আচমকা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠলে ভারতীয় বোলাররা খেই হারিয়ে ফেলেন।

মোহালির ব্যাটিং ট্র্যাকে স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ৩৯ রানে তিনটি, ইশান্ত শর্মা ৪৭ রানে দুটি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৬৩ রানে দুটি করে উইকেটের দেখা পান।

দিনের শুরুতে দুই ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার এবং সামি আহমেদ বল থেকে মুভমেন্ট আদায়ে সক্ষম হচ্ছিলেন। যে কারণে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা খেলছিলেন সতর্কতার সাথে। প্রথম স্পেলে দুই পেসার কিছুটা বেশিমাত্রায় রান দিলেও ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুক এবং ইয়ান বেল বেশ কয়েকবার পরাস্ত হন। তবে ভাগ্যের জোরে তারা বেঁচে যান।

সামি আহমেদ প্রথম তিন ওভারে ১৮ রান দিলে প্যাভিলিয়ন প্রান্ত থেকে ইশান্ত শর্মাকে বল করার জন্য ডাকেন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দীর্ঘদেহী এই সিমার বেশ ভালোই ভোগান্তিতে ফেলেন সফরকারী ব্যাটসম্যানদের। বেলকে দর্শক বানিয়ে ইশান্ত শর্মা প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেয়ার আগে প্রথম উইকেটে ইংলিশ স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ৩৭ রান।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!