মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ মাসের শেষের দিকে বার্মা সফরে যাবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এই প্রথমবারের মতো কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বার্মা সফরে যাচ্ছেন।
বার্মার সামরিক সরকার সে দেশে গত বছরের নির্বাচনের পর গণতন্ত্রের দিকে যাবার লক্ষ্যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ নেবার প্রেক্ষাপটে মি: ওবামার এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর বার্মাই হবে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রথম বিদেশ সফর। এই সফরে প্রেসিডেন্ট ওবামা বার্মার প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন এবং বিরোধী নেত্রী অং সান সুচীর সাথে বৈঠক করবেন।
চলতি মাসের ১৭ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়া সফরে প্রেসিডেন্ট ওবামা বার্মা ছাড়াও কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডও সফর করবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বার্মায় যে রাজনৈতিক পরিবর্তন হচ্ছে সেটিকে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য একটি সুযোগ বলে মনে করছে ওবামা প্রশাসন।
প্রেসিডেন্ট ওবামার বার্মা সফরের মধ্য দিয়েই সেটি তুলে ধরা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। বার্মার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি তুলনামূলকভাবে বেশ দ্রুত গতিতেই এগুচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন।
বার্মার প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সাথে বৈঠক করবেন ওবামা
গত বছর ডিসেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন বার্মা সফর করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র বার্মায় একজন পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে।
বার্মার উপর থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা প্রেসিডেন্ট ওবামার বার্মার সফরের সমালোচনা করে বলতে পারে যে এই সফরের এখনও সময় হয়নি। কারণ রাজনৈতিক উদারিকরণের পথে বার্মাকে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বার্মার পশ্চিমাঞ্চলে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম এবং সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের মধ্যে সংঘাত থামাতে সেদেশের সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসি