প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় নিয়ে ভবিষ্যতে যদি মামলা হয় এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘শোনেন আমি রাজনীতিবিদ। মামলা হতেইপারে। আমি মামলা নিয়ে চিন্তা করিনা। নিজের কাছে পরিষ্কার থাকাটাই মূলকথা।’’ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক রাশিয়া সফরের অভিজ্ঞতা দেশবাসীকে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।আমার রাজনীতি নিজের জন্য না। দেশের মানুষের জন্য। একটা আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি এমন কথাও বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা দেখেছি তা হলো রাশিয়া বঙ্গবন্ধুকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখে। তারা বিশেষ গুরুত্ব দেন তাকে।আমাকে রাশিয়া অভিভূত করেছে। রাশিয়ার সমর্থনের কারণেই মুক্তিযোদ্ধে বিজয় আরো সহজ হয়েছিল। রাশিয়া আমাদের পরম বন্ধু। দুর্দিনে তারাও আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে কৃতজ্ঞতায় বেঁধেছে। এই সফরে সেই সম্পর্কে আবারো পূনর্জাগরণ ঘটেছে।”জানুয়ারির মধ্যে বিশ্বব্যাংক থেকে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে সিদ্ধান্ত না দিলে ফেব্রুয়ারিতে নিজেরা শুরু করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।একই সময় তিনি সেপ্টেম্বর অক্টোবরে রুপপুরের পারমাণবিক বিদ্যু কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে উল্লেখ করেতিনি বলেন, তবে এরইমধ্যে বাংলাদেশকে বেশকিছু কাজ করতে হবে। রাশিয়া প্রযুক্তিগত ও অর্থায়নে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।রাশিয়াকে পরমবন্ধু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার মানুষ বঙ্গবন্ধুর কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির মাঝে তারা বাংলাদেশকে দেখে। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অমরত্ব লাখ করেছে। আমার সফরের মধ্যে ওইসম্পর্ক আবারও জাগরিত হয়েছে। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবেই দেশটি থেকেসমরাস্ত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। জাতিসংঘে আমরা যখনই সেনা পাঠিয়েছি, তখন তাদের সঙ্গে বিভিন্ন যানও পাঠানো হয়েছে। যেগুলো রাশিয়া থেকে কেনা। জাতিসংঘ থেকেটাকা পেয়ে তা পরিশোধ করা হয়েছে।
রাশিয়াকে পরমবন্ধু উল্লেখ করে শুল্কমুক্ত পন্য আমদানি করার জন্য দেশটিকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি রাশিয়া সফর করেন। এ সময় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কৃষি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ওসংস্কৃতি বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে তিনটিচুক্তি ও ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।