মানবদেহে পেপার স্প্রেসহ অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবহার কেন অবধৈ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোট।বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।জনস্বার্থে গত রোববার রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীব অ্যাডভোকেট ড. মো. ইউনুস আলী আকন্দ।তিনি জানান, সোমবার আদালত রুল জারি করেছেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটনি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিপার স্প্রে বন্ধে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া। ডাকযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং র্যাবের মহাপরিচালককে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অমানবিকভাবে বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক পিপার স্প্রের ব্যবহারের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে সরকারকে অনুরোধ করছি। অন্যথায় জনস্বার্থে হাই কোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হবে।”নোটিশে আরো বলা হয়, “কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সরকার বিরোধী বিভিন্ন সমাবেশে এমনকি পেশাজীবী শিক্ষকদের উপরও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক পিপার ¯েপ্র নামক এক ধরনের অস্ত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে ইতিমধ্যে আক্রান্ত মানুষ চোখের কর্নিয়াসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছে।”
লসএ্যাঞ্জেলস টাইমস ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে ৬১টি মৃত্যুর উদাহরণ দিয়েছে। এর প্রাথমিক কারণের মধ্যে ছিল পুলিশের পিপার ¯েপ্র ব্যবহারের অভিযোগ। পিপার ¯েপ্র ক্যান্সারের কারণ হতে পারে বলেও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর এক গবেষণায়ও বলা হয়েছে।এছাড়া এটি হৃদযন্ত্র, রক্ত প্রবাহ,ফুসফুস, স্নায়ু ও মস্তিষ্কের ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণ সংহারের কারণ হতে পারে বলেও ওই গবেষণায় উল্লেখ করা হয় বলে নোটিশে দাবি করা হয়।