যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতাদের অন্যায়ভাবে কিছু করা হলে বরদাশত করা হবে না বলে সরকারকে আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিবির।সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর এক মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের শাখা দায়িত্বশীলদের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.দেলাওয়ার হোসেন এ হুঁশিয়ারি দেন।
কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.দেলাওয়ার হোসেন বলেন, তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কোন অন্যায়সিদ্ধান্ত বরদাশত করা হবে না। ট্রাইব্যুনালের যে কোন অন্যায় সিদ্ধান্তমুকাবেলায় ছাত্রশিবিরের সারা দেশের সকল জনশক্তিকে প্রস্তুত থাকার আহ্বানজানান তিনি।তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা নিজামী, আল্লামা সাঈদীদেরবিরুদ্ধে চলা বিচারের নামে প্রহসন দেখতে দেখতে মানুষ এই সরকারের ওপর চরমবিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে। সবাই বুঝে গেছে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক হাতিয়ারহিসেবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নাটক সাজিয়েছে। সত্যিকারের কোন বিচারেরটার্গেট আওয়ামী লীগের আদৌ ছিল না। যখন বিশ্বজিতকে ছাত্রলীগ প্রকাশ্যদিবালোকে রাজপথে কুপিয়ে হত্যা করে, যখন দশ বছরের শিশু ছাত্রলীগসন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারায়, তখন এই সকল খুনী, সন্ত্রাসীর বিচার নাকরে আলেমদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নির্যাতন করা জনগণ আর সহ্য করবেনা।
সরকার জনগনের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। জনমানুষেরএসব সংকট সমাধানের কোন উদ্যোগ না নিয়ে চল্লিশ বছর আগের মীমাংসিত ইস্যু টেনেআনা জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল। জনগণ বিচারের নামে চলা প্রহসনেরাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় দেখতে চায় না।তিনি আরো বলেন, এই সরকার কীভাবে ‘ফেয়ার ট্রায়াল’ করবে? যে সরকার শিক্ষকদেরওপর মরিচের গুড়া ছিটায়, গণতান্ত্রিক কর্মসূচি দমনে নিজেদের পোষ্য ছাত্রলীগআর পুলিশকে একযোগে অস্ত্র হাতে নামিয়ে দেয়, সেই সরকার কোনভাবেই সুবিচারেরধারক হতে পারে না। সাক্ষ্য দিতে এসে সাক্ষীই যখন আদালতের সামনে থেকে হারিয়েযায়, তখন সরকারের কাছে সুবিচারের আশা করা কোন সচেতন মানুষের পক্ষেই সম্ভবনয়।
জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে একজন সৎ সাক্ষীও সাক্ষ্য দেননি। বিবেকেরতাড়নায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী যখন জামায়াত নেতৃবৃন্দের পক্ষে সাক্ষ্য দিতেএসেছেন তখন তাকে গুম করে ফেলা হয়েছে।