জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ নয় দফা দাবিতে সারাদেশে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এতে
সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহন মালিক ও চালকরা। জ্বালানি না পেয়ে অনেকে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছন। এ ধর্মঘট কতদিন চলবে সেটা বলতে পারছেন না কেউই।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক সোমবার জানিয়েছেন, যতক্ষণ তাদের দাবি পূরণ না হবে ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে। কোনো পাম্প বা ট্যাংক লরি থেকে এক লিটার তেলও বিক্রি বা পরিবহণ হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ডিজেল বিক্রির কমিশন ৩ দশমিক ৪০ এবং পেট্রোল ও অকটেনের কমিশন ৪ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে আসছে। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি করে তারা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ, পেট্রোলে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং অকটেনে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে কমিশন পান।
সরকার গত ৩ জানুয়ারি চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ থেকে সাত টাকা বাড়ানোর পর বিতরণ কোম্পানিগুলোর কমিশনও তিন থেকে পাঁচ পয়সা বাড়ানো হয়।
ঐক্য পরিষদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ট্যাঙ্কলরির ভাড়া বৃদ্ধি, চালকদের বিশেষ বিবেচনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, চালকদের প্রয়োজনীয় প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে পাঁচ লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা চালু, পেট্রোল পাম্প স্থাপনে বিপিসির নীতিমালা সংশোধন, চট্টগ্রাম, ফতুল্লা, দৌলতপুর, চাঁদপুর ও সিলেটে টার্মিনাল নির্মাণ এবং ঢাকা গোদনাইলে পদ্মা ও মেঘনার টার্মিনাল সংস্কার, জ্বালানি তেলের ভেজাল রোধে বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ, বিএসটিআইর টলারেন্স মাত্রা যৌক্তিক হারে নির্ধারণ এবং শ্রমিক নেতা মীর মোকসেদ ও আমির হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার।
বাংলাদেশটাইমস.নেট/রঞ্জিত সরকার / ঢাকা