আজ || রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  অবশেষে গোপালপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত পরিবার সুচিকিৎসা পাচ্ছেন       গোপালপুর-ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চল এখন মাদক আর দুস্কৃতকারিদের অভয়ারণ্য       গোপালপুরে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে কৃষক সমাবেশ       খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান       গোপালপুর উপজেলা পরিষদ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা       গোপালপুরে কুরতুবী মাদ্রাসার উদ্ধোধন       সালাম পিন্টুর মুক্তির আনন্দে গোপালপুরে মোটরসাইকেল র‍্যালি       গোপালপুরে জাসাস এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন       গোপালপুরে বিনামূল্যে সহস্রাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ    
 


বৃষ্টি ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে ডেঙ্গুর প্রকোপ

undefined

ব্রাজিলে গবেষকরা এবার রীতিমতো হিসেবনিকেশ করে দেখেছেন যে, বৃষ্টির পরিমাণ আর গড় তাপমাত্রা বাড়লে সেই সঙ্গে মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে৷ সত্যিই কি তাই?

ব্রাজিলের রিও ডি জানিরো শহরের ‘ন্যাশনাল স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’ শহরটির আবহাওয়াগত বিভিন্ন উপাদান ও ডেঙ্গু জ্বরের ঘটনা বাড়া কি কমার সম্পর্কটা বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছে৷ এবং সেটা এক-দুই বছর ধরে নয়, বরং ২০০১ থেকে ২০০৯, অর্থাৎ ন’বছর ধরে৷

প্রতিমাসে কতগুলো ডেঙ্গু জ্বরের ঘটনা ঘটছে, সে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে৷ রিও’র দিন ও রাত্রির তাপমাত্রার খতিয়ান দিয়েছে জাতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান৷ আর বৃষ্টির পরিমাণ জানিয়েছে রিও’র মিউনিসিপাল কর্পোরেশন৷

এই তিন মিলে খতিয়ে দেখে গবেষকরা যে খুব নতুন কোনো তথ্য আবিষ্কার করেছেন, এমন নয় – সে কথা তাঁরা নিজেরাই বলছেন৷ ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায় এডিস নামের এক মশা, যাদের দরকার বৃষ্টি কিংবা সেচ থেকে পরিষ্কার জল৷

ওদিকে তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাদের ডিম ফুটতে ও ডিম থেকে বেরনো শূককীটদের তাড়াতাড়ি বাড়তে সুবিধে হয়৷ রিও দক্ষিণ গোলার্ধে৷ সেখানে গরমকাল হল ডিসেম্বর থেকে নার্চ এবং সেই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়৷

গবেষকরা দেখেছেন, কোনো মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়লেই, পরের মাসে রিও’য় ডেঙ্গুর ঘটনা ৪৫ শতাংশ বেড়ে যায়৷ আর বৃষ্টিপাত ১০ মিলিমিটার বাড়লে পরের মাসে ডেঙ্গুর ঘটনা বাড়ে ছয় শতাংশ৷ এটাই হল এই গবেষণা থেকে আবিষ্কৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: দেখা গেছে, বৃষ্টিপাতের চেয়ে তাপমাত্রা, বিশেষ করে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার উপরেই ডেঙ্গুর বাড়া-কমা নির্ভর করে৷

সব মিলিয়ে ডেঙ্গু ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ে যখন দিন ও রাতের গড় তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়৷ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধের পন্থা সম্পর্কেও গবেষকদের নতুন করে কিছু বলার নেই: মশারা বংশবৃদ্ধি করতে পারে, এমন বদ্ধজলের এলাকাগুলি পরিষ্কার করা দরকার৷ এক্ষেত্রে ফুলের টবে জমা জল, এমনকি পুরনো প্লাস্টিকের বোতলে জমা জলকেও বাদ দিচ্ছেন না তারা৷ চৌবাচ্চার জল ঢেকে রাখাও একটা পন্থা৷

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!