রোববার রিটটি বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। আদালত সোমবার দুপুরের পরে এ আবেদনের শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী মো. সগীর হোসেন লিওন হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রোববার সকালে ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন, গাজী কামরুল ইসলাম ইসলাম সজল।
রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের ডিসি (প্রসিউশন), ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার, ঢাকার আইজি (প্রিজন), লালবাগ ও উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার, গাজীপুরের এসপিসহ সংশ্লিষ্ট ১৫জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে জামিন পাওয়ার পর যথাযথ আদালত কর্তৃক ইস্যু করা গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং আইনের যথাযথ বিধান ছাড়া মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
যেসব মামলার এফআইয়ারে আসামি কলামে মির্জা ফখরুলের নাম নেই, সেসব মামলায় গ্রেফতার না করতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয় আবেদনে।
গত ২ জানুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে দুটি মামলায় জামিন দেয় হাই কোর্ট। কিন্তু এরপর আবার নতুন করে দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আটক রাখা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর অবরোধ চলাকালে ঢাকা সিটি করপোরেশনে ময়লার গাড়ি ভাঙচুর মামলায় পরদিন ফখরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।