দলীয় সভায় বক্তব্য রাখার সময় হামলার শিকার হলেন বুলগেরিয়ার তুর্কি পার্টির নেতা আহমেদ দোগান। এক ব্যক্তি হঠাৎ মঞ্চে উঠে তার দিকে পিস্তল তাক করে। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর স্কাই নিউজের। বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায়
জাতিগত তুর্কি পার্টি মুভমেন্ট ফর রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস (এমআরএফ) এর বার্ষিক সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন আহমেদ দোগান। এ সময় মঞ্চে উঠে এসে তার মুখে পিস্তল তাক করেন দলেরই কর্মী ওকাই এনিমেহমেদভ। কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও নিজেকে সমালে নিয়ে এক হাত দিয়ে পিস্তল ধরে ফেলেন দোগান। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা আক্রমণকারীকে নিরস্ত্র করে এবং বেদম মারপিট করে।
পরে জানা যায়, পিস্তটি মরণঘাতী ছিল না। এটি ছিল একটি ‘গ্যাস পিস্তল’ যা দিয়ে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া যায়। আক্রমণকারী ওকতাইয়ের কাছে দুটি ছুরিও ছিল বলে নিরাপত্তাকর্মীরা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেসভেভতান তেসভেতানভ জানান, আততায়ীর মাদক পাচার, ডাকাতি, রাহাজানি এবং অন্যান্য অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল।
উদারপন্থী এমআরএফ দলটি বুলগেরিয়াতে জাতিগত তুর্কি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা দেশটির মোট জনসংখ্যা ৭৩ লাখ এর ১২ শতাংশের মতো।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দলটির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠেছেন ৫৮ বছর বয়সী দোগান। নতুন নেতা নির্বাচিত করতেই এই সম্মেলনের ডাক দেয়া হয়েছিল।
১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই লুকানোভ হত্যার পর রাজনীতিবিদদের উপর বুলগেরিয়ায় এটাই প্রকাশ্য হামলার ঘটনা।