দুই ম্যাচ শেষে ১-১ এ সমতা ফিরিয়েছিল ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতে এবার ৩-১ এ পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল তারা। ইংলিশদের বিপক্ষে বোলিং দাপট দেখিয়ে ব্যাট হাতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ১৫৫ রানে সফরকারীদের গুটিয়ে দেয়ার পর ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত।
ইংল্যান্ড: ১৫৫ (৪২.২ ওভার)
ভারত: ১৫৭/৩ (২৮.১ ওভার)
ফল: ভারত সাত উইকেটে জয়ী।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত রানের খাতা না খুলেই স্টিভেন ফিনের শিকার হন ভারতীয় ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে। গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলির ৬৭ রানের জুটিতে ছোট্ট ধাক্কাটা বেশ সামলে ওঠে স্বাগতিকরা। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে জেমস ট্রেডওয়েল গম্ভীরকে ফেরালেও কোহলির অর্ধশতক দলকে সহজ জয়ের পথে রাখে।
যুবরাজ সিং ব্যাট হাতে ২১ বলে ছয় চারের ঝড়ো ইনিংস খেলে জয়কে আরো কাছে নিয়ে আসেন। তবে লক্ষ্য থেকে ১২ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরতে হয় যুবরাজকে (৩০)।
যুবরাজের ফেরাটা অবশ্য ভালোই হয়েছে ধোনির জন্য। ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। ২৯তম ওভারের প্রথম বলে জয়সূচক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেনও ধোনিই। ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অপর পাশে ৭৭ রানে টিকে ছিলেন কোহলি।
ইংলিশদের পক্ষে তিন উইকেটের দুটি নিয়েছেন ট্রেডওয়েল, একটি পান ফিন।
টসে জিতে এর আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার এ সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক করেন ভারতীয় বোলাররা। পেসারদের তোপে ৯৭ রানেই ইংলিশদের চার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন।
এরপর ২৫তম ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে জাদেজা ইংলিশদের আরো বিপর্যস্ত করেন। ওই ওভারে শূন্যরানেই সাজঘরে ফেরেন ক্রেইগ কিসওয়েটার ও স্যামিট প্যাটেল। ৯৮ রানেই ইংল্যান্ডের নেই ছয় উইকেট।
জো রুট ও টিম ব্রেসন্যান ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি গড়েন।
৩৯ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন রুট। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করে করেন ইয়ান বেল ও ব্রেসন্যান।
৬.২ ওভার বল করে ১৯ রানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পেয়েছেন জাদেজা। দুটি করে উইকেট দখল করেন ইশান্ত ও অশ্বিন। একটি করে নেন ভুবনেশ্বর কুমার, সুরেশ রায়না ও শামি আহমেদ।