বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমায় উপস্থিত হতে জনতার ঢল নেমেছে।
দুপুরে বিশ্ব শান্তি কামনায় মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমা।
এখন চলছে হেদায়তি বয়ান। বয়ান শেষে দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন তাবলীগের মরুব্বি বাংলাদেশের মাওলানা মো. রবিউল ইসলাম।
টঙ্গীর পথে শনিবার মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোটর গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে মোনাজাতে অংশ নিতে মুসল্লিরা পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে যাচ্ছেন।
সকাল সাড়ে ৯ টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। এখন মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলিতে অবস্থান নিচ্ছেন মুসল্লিরা।
ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে মানুষ সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া আশপাশের ভবনের ছাদেও অনেকের দেখা গেছে।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে রোববার এ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এরআগে গত ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি চলে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতি বছর এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে। ১৬০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ইজতেমা মাঠে বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলিগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেন।
তারা এখানে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে এখান থেকেই দ্বীনের দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে যান। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের তাবলিগ অনুসারীরা মিলিত হন এ ইজতেমায়
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩