শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা গুলশানের নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা মন্তব্য করেন তিনি।
ফারুক বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থার দিকে নজর না দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগের অত্যাচার, অনাচার, লুটপাট, দুর্নীতিই প্রমাণ করে জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী মারার স্প্রে ব্যবহার করে আমাদের যে শিক্ষককে মারা হয়েছে তার বিচার আমরা জনগণকে নিয়ে করবো।
আসন্ন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগদানের ব্যাপারে তিনি বলেন, দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তাছাড়া সরকার চাচ্ছে আমরা যাতে সংসদে না যাই, যার প্রমাণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাকে আমলে এনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেয়ার অপচেষ্টা।
বর্তমানের বিচার বিভাগের সমালোচনা করে ফারুক বলেন, দলীয়করণের মাধ্যমে সরকার বিচার বিভাগকে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে দুদককে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, গতকাল চতুর্থ জজ আদালত আমার করা ১০ কোটি টাকার মানহানী মামলা খারিজ করে দিয়েছে, পাশাপাশি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেছে- আক্রমণকারীদের মাথায় হেলম্যাট থাকায় তাদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অথচ দেশে-বিদেশে সবাই দেখেছে আমার ওপর এবং আমার সহকর্মীদের ওপর কারা কীভাবে হামলা করেছে। তার বিচার আমি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, এ সকারের আমলে এক হাজারেরও বেশি সীমান্তহত্যা, ১৫৭ জন গুম এবং গত তিন মাসে সারা দেশে ২৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অসৎ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরও তাকে একটার পর একটা মামলা দিয়ে জেলে আটক রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন মিজান।