টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদকে (৬০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় শহরের কলেজপাড়া নিজ বাসার কাছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা তাকে হত্যা করে ফেলে রাখে । টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিতসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতে তার মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে অনেকেই ধারণ করেছিলেন। হাসপাতাল সূত্র বলেছিল, প্রেসারের কারণে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হতে পারে। রাত দেড়টার দিকে চিকিতসক এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হন তার মৃত্যু হয়েছে আততায়ীর গুলিতে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাসভবনের প্রায় দেড়শ’ গজ দূরে ফারুক আহমেদকে পড়ে থাকতে দেখেন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর শফিকুল হক শামীম। শামীমের চিতকারে ফারুক আহমদের পরিবারের ও আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। দ্রুত টাঙ্গাইল জেলারেল হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিতসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী নাহার আহমেদ অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে দলীয় লোকজনই হত্যা করেছে। হাসপাতালে স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিতসক রফিকুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার পিঠে গুলির চিহৃ পাওয়া গেছে। টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গুলি করেই হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা ও পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুকসহ দলীয় নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় জমান। নিহত ফারুক আহমেদ সদর উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। স্ত্রী ছাড়াও তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।