আজ || বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে ‘কল্যাণের শপথ সেবা সংঘ’র কমিটি গঠন       গোপালপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর     
 


রোববার থেকে পাম্প ধর্মঘট

জ্বালানি তেলের কমিশন বাড়ানোর দাবিতে বেঁধে দেয়া সময় ফুরিয়ে এলেও সরকারের ‘সাড়া না পেয়ে’ রোববার থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন পেট্রোল পাম্প মালিকরা।

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হক শুক্রবার বিকালে সংগঠনের কাকরাইল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, সরকার এর আগে কয়েক দফা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ না করায় গত ১৩ জানুয়ারি তারা সাত দিন সময়ে বেঁধে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারের কোনো সাড়া মেলেনি।

“এ অবস্থায় আমরা রোববার ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাচ্ছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।”

“তবে আগামীকালও একদিন সময় আছে। এর মধ্যে সরকার যদি আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেব”, বলেন নাজমুল হক।

ধর্মঘট হলে সারাদেশে প্রায় ৯ হাজার পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরির মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ থাকবে পরিষদের নেতারা জানান।

পাম্প মালিকদের মূল দাবি হলো- ডিজেলে কমিশন বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪ শতাংশ করতে হবে। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি করে পাম্প মালিকরা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ, পেট্রোলে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং অকটেনে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে কমিশন পান।

সরকার গত ৩ জানুয়ারি রাতে চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। ওই রাতেই বিতরণ কোম্পানিগুলোর কমিশন ৩ থেকে ৫ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

নাজমুল হকের দাবি, কমিশন বাড়ানোর পরও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতি লরি (৯ হাজার লিটার)ডিজেলে তাদের বাড়তি ৬৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। একই কথা পেট্রোলও অকটেনের ক্ষেত্রেও।

অবশ্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বলছে, গত ২২ বছরে তেল কোম্পানিগুলোর তুলনায় পরিবেশকদের কমিশন প্রায় ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। ১৯৯০ সালে সরকারি তিনটি তেল বিপণন কোম্পানি ও পরিবেশকদের কমিশন ছিল প্রায় সমান।

এর আগে গত বছর এপ্রিলেও কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তবে সরকারের আশ্বাস পেয়ে পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!