স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর দাবি করেছেন, “অবৈধ সমাবেশ দমনে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক কনভেশনে অনুমোদিত যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, পিপার স্প্রে সেগুলোর একটি। কাজেই এ উপকরণ সম্পর্কে কারো কোনো মত দেয়ার অধিকার নেই।”
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়ায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে পিপার স্প্রে ব্যবহার প্রসঙ্গে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “যখন নৈরাজ্য বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে তখন তারা ফুলের মালা নিয়ে যাবে না, নৈরাজ্য দমন করার উদ্দেশ্যেই যাবে।”
মন্ত্রী দাবি করেন, “মনে রাখতে হবে, ভাঙচুর ও নৈরাজ্য বন্ধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।”
মন্ত্রী কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের একাদশ ও স্নাতক প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীর নবীনবরণ, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, বৃত্তি প্রদান এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। পরে মন্ত্রী চাঁদপুর শহরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারীর বাবার স্মরণে আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে যোগ দেন। এছাড়া তিনি আশ্রাফপুর স্কুল মাঠ ও জগতপুর বাজারে শীতার্ত লোকজনের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন পিপার স্প্রে ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে, ক্ষতিকর পিপার স্প্রে বিশ্বের অনেক দেশেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। তাই বাংলাদেশেও পিপার স্প্রে বন্ধের জোরালো দাবি উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে