প্রতিদিন মাছের তেল খেলে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে এবং মেধা তীক্ষ্ণ হয় বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে। এ গবেষণা সমীক্ষা চালিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এতে দেখা গেছে, সি ফুড ও কিছু কিছু অ্যালগিতে যে ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় তা সম্পূরক খাদ্য হিসেবে দেয়া হলে শিশুর পড়াশুনা নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হতে পারে।
এ গবেষণার সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীরা ৭ থেকে ৯ বছরের ৩৬২টি শিশুকে ১৬ সপ্তাহ ধরে ৬০০ মিলিগ্রাম ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড খেতে দিয়েছেন। গবেষকরা দেখতে পান, সামগ্রিকভাবে এর ফলে শিশুদের আচরণে তেমন কোন পার্থক্য ধরা পড়েনি। কিন্তু যাদের বই পড়ার মান স্বাভাবিকের তুলনায় পঞ্চম সারিতে ছিল তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের উন্নতি হয়েছে। যাদেরকে ওমেগা-থ্রি দেয়া হয়নি তাদের তুলনায় অনেক ভালো করেছে তারা। এ ছাড়া, এ দলের যে সব শিশুর বই পড়ার মান শেষ ১০ শতাংশের মধ্যে ছিল ১.৯ মাসের মধ্যে তাদের মানেরও উন্নতি ঘটেছে ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এভিডেন্স-বেইজড ইন্টারভেনশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. আলেক্স রিসার্ডসন বলেন, ওমেগা-থ্রি ডিএইচএ সম্পূরক খাদ্য হিসেবে দেয়া হলে দলের পঞ্চম সারির শিশুদের বই পড়ার মানের উন্নতি ঘটে এবং তারা দলের আর সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
এদিকে আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে তিনদিন তেলসমৃদ্ধ মাছ খেতে দেয়া হলে বয়সী মানুষদের পেশীর স্বাভাবিক ক্ষয়ের হার কমে যায় এবং যারা ব্যায়াম করেন তারা দ্বিগুণ সাফল্য পান। ব্রিটিশ সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে এ গবেষণাপত্র পেশ করা হয়।
ব্যায়াম করে দেহের পেশী গড়ার ক্ষমতা ৩০ বছরের মাঝামাঝি পর্যায় থেকে হ্রাস পেতে থাকে। ফলে বয়সী মানুষদের পেশী ক্ষয় রোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি মাছের তেল গ্রহণ করার পর ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের পেশি শক্তির ২০ শতাংশ উন্নতি ঘটেছে বলে ওই গবেষণায় দেখা গেছে।