এ ছাড়াও বিটিসিএলের (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড) ৪৭ এসটিএম ব্যবহার, সিডিআর (কল ডিটেইল বা ডেটা রেকর্ড) যন্ত্রের তথ্য ডিকোড করার সফটওয়্যার না থাকা, অবৈধ কল টার্মিনেশনে বিটিসিএল ও টেলিটকের সম্পৃক্ততা এবং অবৈধ ভিওআইপি অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে অবৈধ ভিওআইপি অসৎ ব্যবসায়ীদের আরো উসকে দেবে বলেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজস্ব ক্ষতি কমাতে ২৫৭টি কোম্পানিকে ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার (ভিএসপি) লাইসেন্স দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় ১৫ জানুয়ারি এক হাজার চারটি প্রতিষ্ঠানের নাম চূড়ান্ত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। ১৬ জানুয়ারি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স হাতে পেলে বৈধ পথের চেয়ে অবৈধ ভিওআইপির কল আরো বাড়বে বলেই অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া স্বপন বলেন, “সরকারের প্রথম দুই তিন বছরে অবৈধ ভিওআইপি সেভাবে হয় না। এখন শেষ সময়, যে যেভাবে পারছে টাকা আয় করছে।”
তিনি মনে করেন, প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট হওয়ায় সাধারণ মানুষ অবৈধ ভিওআইপির বিষয়টি বুঝতে পারে না বলে সুযোগ নিচ্ছে এর সঙ্গে জড়িতরা।
এর আগে লাইসেন্স দেয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছিল লাইসেন্সের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক হতে পারে। কিন্তু এ সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় বিস্মিত মন্ত্রণালয় ছাড়া সংশ্লিষ্ট সব মহল। বর্তমানে দেশে যে ভলিউমে কল আসছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিপুলসংখ্যক লাইসেন্স টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে।
তবে এ বিষয়ে অন দ্য রেকর্ড কোনো মন্তব্য করতে চাননি কমিশন চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস। তিনি জানিয়েছেন, ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য এক হাজার ৫০৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিশন লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম শুরু করবে।
এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিসিএল এবং টেলিটকের অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে জড়িত থাকা এবং তাদের কিছু না হওয়ায় এ খাতে সরকারের একাংশের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকার কঠোর না হয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রতি নমনীয় আচরণ করায় দিন দিন অবৈধ ভিওআইপি সর্বনাশা রূপ নিচ্ছে।