আজ || রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  শতাব্দি পেরনো স্বর্ণজয়ী মানুষ ‘প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন’       অবশেষে গোপালপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত পরিবার সুচিকিৎসা পাচ্ছেন       গোপালপুর-ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চল এখন মাদক আর দুস্কৃতকারিদের অভয়ারণ্য       গোপালপুরে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে কৃষক সমাবেশ       খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান       গোপালপুর উপজেলা পরিষদ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা       গোপালপুরে কুরতুবী মাদ্রাসার উদ্ধোধন       সালাম পিন্টুর মুক্তির আনন্দে গোপালপুরে মোটরসাইকেল র‍্যালি       গোপালপুরে জাসাস এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন    
 


শুক্রবার থেকে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে

এ টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের’ ৪৭তম বিশ্ব ইজতেমা’র দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্বে ঢাকা জেলাসহ ৩৬টি জেলার তাবলীগ জামাতের মুসল্লিগণ ৩৮টি খিত্তায় অবস্থান করবেন। ইতোমধ্যে হাজার হাজার মুসলি ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি রোববার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৩ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব শেষ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, তাবলীগ জামাতের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রথম পর্বের ময়লা আবর্জনা অপসারণ করে দ্বিতীয় পর্বের জন্য ইজতেমা ময়দানকে প্রস্তুত করছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলার তাবলীগ জামাতের লাখো মুসলি ইজতেমা মাঠে এসে নিজ নিজ জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান করছেন। শুক্রবার বাদ ফজর আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। তবে বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকে বয়ান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জিম্মাদার প্রকৌশলী মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকেই ইজতেমায় সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে তাবলীগ মুরব্বীদের বয়ান শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বের ১হাজার ২শ’ বিদেশী মুসল্লিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক মুসলী বিভিন্ন মেয়াদি চিল্লার নিয়ত করে জামাতবন্দি হয়ে ইজতেমা ময়দানেই রয়েছেন। তারা দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাত শেষ করে তাবলীগের কাজে বিভিন্ন অঞ্চলে বেরিয়ে যাবেন। দ্বিতীয় পর্বেও শুক্রবারের জুম্মার নামাজে ইজতেমায় লাখ লাখ মুসলী অংশ নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ পর্বেও বিদেশী মেহমানদের টিনের সামিয়ানার পূর্ব পাশে স্থাপিত মূল মঞ্চ থেকে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বীগণ আরবি ও উর্দুতে বয়ান করবেন এবং মুসল্লিদের সুবিধার্থে তা বাংলা, আরবি, উর্দু ভাষায় তরজমা করে প্রচার করা হবে।

ইজতেমা এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংযোগ, মুসল্লিদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বেও অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে গাজীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, টঙ্গী পৌরসভা ও ওয়াসা পানি সরবরাহ শুরু করেছে। মুসল্লিদের সুশৃঙ্খল অবস্থানের জন্য ইজতেমা ময়দানে চটের তৈরি পুরো প্যান্ডেলকে দ্বিতীয় পর্বে ৩৮টি খিত্তায় ভাগ করে বিভিন্ন জেলাওয়ারী মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্বে খিত্তার সংখ্যা ছিল ৪০টি। প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারীজেলা সমূহের মুসল্লিরা ২য় পর্বে অংশ নিচ্ছেন না। ঢাকা মহানগর এলাকার জন্য সাধারণ পার্কিং নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার খালি জায়গা। উত্তরা ৬নং সেক্টর ও রাজউক কলেজের আশপাশের খালি জায়গা। সিলেট বিভাগের পার্কিং-উত্তরা ১২নং সেক্টর। বরিশাল বিভাগ পার্কিং-ধৌড় ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন পার্কিং (ধৌড় ব্রিজ থেকে ২০০ গজ পশ্চিমে রাস্তার বাম পাশে)। ঢাকা বিভাগের পার্কিং- সোনারগাঁও জনপথ সড়কের পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্ত। খুলনা বিভাগের পার্কিং-উত্তরা ১০ ও ১১ নং সেক্টর সড়কের উভয় পার্র্শ্ব। রংপুর বিভাগ পার্কিং- প্রতাশা হাউজিং। চট্টগ্রাম বিভাগের পার্কিং-উত্তরা ১৩নং সেক্টরস্থ গাউছুল আজম রোড ও গরীবে নেওয়াজ রোডের উভয় পার্র্শ্ব। রাজশাহী বিভাগের পার্কিং- কামারপাড়া হাউজিং মাঠ এবং উত্তরা ১০ নং সেক্টরের খালি জায়গা। চিকিৎসা সেবায় বেসরকারিভাবে এবারও প্রথম পর্বের ন্যায় হামর্দদ ল্যাবরেটরিজ, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল্স, জনকল্যাণ ফার্মাসিউটিক্যালস, টঙ্গী ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন এবং সরকারিভাবে গাজীপুর সির্ভিল সার্জন অফিস, টঙ্গী পৌরসভা ও র‌্যাব ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প চালু করেছে। টঙ্গী উন্নয়ন পরিষদ মুসল্লিদের মাঝে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা হুমায়ুন হিমু। প্রথম পর্বের ন্যায় এ পর্বেও শনিবার বাদ আছর যৌতুক বিহীন গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ইজতেমায় দায়িত্ব পালনরত মুরুব্বী।

র‌্যাব ও পুলিশ ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে ইজতেমা মাঠে মুসল্লিদের নিরাপত্তাদানে সার্বক্ষণিক নজরদারী করছে। এছাড়াও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মুসল্লিদের নিরাপত্তার দিকটি সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন জানান, এবারের দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায়ও ৪ স্তরের নিরাপত্তায় ১০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। টঙ্গী থানার ওসি মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, আল্লাহর রহমতে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা যেমন সুশৃঙ্খলভাবে সুসম্পন্ন হয়েছে তেমনি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার বিষয়টি সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নির্বিঘ� করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পালা করে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছে। সড়ক-মহাসড়কগুলোতে র‌্যাব-পুলিশের চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!