আজ || রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর        গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন       ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগকে এদেশের মানুষ মাথা তুলে দাড়াতে দিবেনা : সালাউদ্দীন আহমেদ    
 


সুখরঞ্জন বালীকে খুঁজে বের করুন: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

undefined

যুদ্ধাপরাধ মামলায় আটক জামায়াত নেতা ও  বরেণ্য আলেম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে আশঙ্কা করে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, সরকারের উচিত তাকে খুঁজে বের করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করা। কিন্তু সরকার কিছুই করেনি।
বালীকে রাষ্ট্রপক্ষ স্বাক্ষী হিসেবে দেখালেও তিনি মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে আসেন। গত ৫ নভেম্বর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের গেট থেকে বালীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অপহরণ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বালীকে অপহরণ করার দুমাস পেরিয়ে গেলেও তার অবস্থান ও অবস্থা সম্পর্কে কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাকে সর্বশেষ নিরাপত্তা হেফাজতে দেখা গেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় বিভাগের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘তার জীবন নিয়ে আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় অপহরণের ঘটনাটি চরম উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সরকারের উচিত ছিল বালীকে খুঁজে বের করতে সবকিছু করা। কিন্তু সরকার কিছুই করেনি।’
বালীকে অপহরণের ঘটনাটি ট্রাইবুনাল ও উচ্চ আদালতকে অবহিত করলেও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা একে সাজানো ঘটনা বলে মন্তব্য করেন। তবে একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জানতে পেরেছেন নিরাপত্তা হেফাজতে তিনি সর্বশেষ তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইলেও তা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের।
বালীকে যখন সাদা পোশাকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অপহরণ করে তখন সেখানে আসামীপক্ষের আইনজীবী ছাড়াও ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। কিন্তু পুলিশ সে সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।
ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘গুম একটি ভয়াবহ মানবাধিকার লংঘন। কারণ পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন না অপহৃত ব্যক্তি জীবিত আছেন নাকি মারা গেছেন। উত্তর পাবার অপেক্ষায় একটি দিন শেষ করার পর কষ্ট ও যন্ত্রণা নিয়ে তাদের পরের দিনটি শুরু হয়।’
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল কোনো পক্ষপাতের কথা অস্বীকার করলেও স্কাইপি সংলাপ ফাঁস  হয়ে যাওয়ায় পদত্যাগে বাধ্য হন একটি ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!