পুঁজিবাজারে তারল্য নয়, অন্য সমস্যা আছে। তারল্য সংকট থাকলে ব্যাংকগুলো তা পূরণ করতে পারত; কিন্তু আসল সমস্যা অন্য জায়গায়। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্য ১২ দফা দাবি পেশকালে এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমীন এ কথা বলেন।
নূরুল আমীন বলেন, দেশে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে পুঁজিবাজারে লেনদেন এতো কমে যাবে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার ধসের কারণে শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হননি বরং সংশ্লিষ্ট সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল আমীন বলেন, পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং মার্চেন্ট ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক নয়। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এবিবি কি পুঁজিবাজার রক্ষায় আশ্বাসই দিয়ে যাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল আমীন বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ব্যাপার। আশ্বাস দেয়ার পর প্রত্যেকটি ব্যাংকের পোর্টফলিও যাচাই করলে বোঝা যাবে কে কি করেছে।
নূরুল আমীন আরো বলেন, বাজারের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কিংবা ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি ডাকে তবে এবিবি তাতে সাড়া দেবে।
বাজার রক্ষায় আইসিবি কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ ফান্ডের ব্যাপারে স্বপ্রণোদিত হয়ে নূরুল আমীন বলেন, বাংলাদেশ ফান্ডের অর্থ ইউটিলাইজ হয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে।
এবিবি সভাপতি জানান, আগামী ১৮ জানুয়ারি মনিটারি পলিসি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের দাবিগুলো উত্থাপন করা হবে।
এবিবি’র চেয়ারম্যানের সঙ্গে এনসিসি ব্যাংকের কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের আহবায়ক রুহুল আমিন এবং সদস্য সচিব আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে যে দাবিগুলো তুলে ধরা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন না করে পূর্বের আইনানুযায়ী মোট দায়ের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শর্ত বহাল রাখা, আমানতের সুদের হার ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সনদ প্রদান করা, ব্যাংকগুলোকে বাজারে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ গ্রহণ এবং আসন্ন মূদ্রানীতি বাজারবান্ধব করা ইত্যাদি।