বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, “মিথ্যা মামলা দিয়ে আগামী নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।নিজেদের সাড়ে সাত হাজার মামলা প্রত্যাহার করলেও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা দিয়েছে।”
মঙ্গলবার জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়া প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
তরিকুল বলেন, “সরকারের এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি যেকোনো ধরনের কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।”
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যাললয়ে ১৮দলীয় জোট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
গুম ও হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সব জেলা ও মহানগরে ১৮ দলের মঙ্গলবারের মানবপ্রাচীর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান দলটির এই মুখপাত্র।
মঙ্গলবারের মানবপ্রাচীরে সারাদেশের লাখ লাখ মানুষ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, “সরকারের ন্যূনতম বিবেক থাকলে তারা পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিত। কিন্তু তা তারা করবে না। কারণ কোনো স্বৈরশাসকই আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় না গেলে তারা জনগণের দাবি বোঝে না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন পাওয়ার পর অন্য মামলা শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এটা সরকারের নিম্ন মানসিকতা।” অবিলম্বে মির্জা ফখরুলসহ আটক নেতাদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তরিকুল।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, এখানে সরকারি কোনো অর্থ নেই উল্লেখ করে তরিকুল বলেন, “এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ খরচ করা হয়েছে।”
বামদলের হরতালে পুলিশি নির্যাতন ও পিপার স্পে করায় নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “এ সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে লাভ হবে না। তাই বাম দলগুলোর প্রতি আহ্বান করব কর্মসূচি আস্তে আস্তে তীব্র করতে হবে এবং সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করতে হবে।”
মানবপ্রাচীর সফল হয়নি বলে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারের এসব মন্ত্রীদের চোখে ছানি পড়েছে। আপনারা তাদের সার্জারি করতে বলে দেবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা্ আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, সদস্য সচিব আবদুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, জামায়াত ইসলামীর ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া