হরতালে জোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বামপন্থী দুটি রাজনৈতিক জোট। বুধবার সারাদেশে আধাবেলা হরতাল শেষে পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের পক্ষে
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী বোরো মৌসুমের চাষ পুরোদমে শুরু হওয়ার আগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধের দাবি মেনে নিতে জোটের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঘোষিত নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
একই দাবিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের সঙ্গে মিলে দেশের সব উপজেলায় গণবিক্ষোভ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি পেশ করা হবে।
৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে জাতীয় সংসদ অভিমুখে মিছিল ও স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
এ ছাড়া নারী নির্যাতন বন্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সিপিবি ও বাসদ ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, হরতাল ও সমাবেশে পুলিশ যে হামলা ও তরল গ্যাস স্প্রে করেছে এটা যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে হয়ে থাকে তাহলে তার পদত্যাগ দাবি করছি। তার পদত্যাগ দাবি করার অধিকার জনগণের আছে।
তিনি আরো বলেন, আর যদি কোনো পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে এই হামলা হয়ে থাকে তাহলে সরকারের উচিত দোষী ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি দেয়া।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) পৃথকভাবে বুধবার সারাদেশে আধাবেলা হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে। এই হরতালে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল।