২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীতে রেকর্ড সংখ্যক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই সংখ্যা একই সময়ে সম্মুখযুদ্ধে নিহতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে সোমবার পেন্টাগন জানিয়েছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনীর ৩৪৯ জন সক্রিয় সদস্য আত্মহত্যা করেছে। ২০১১ সাল থেকে এই সংখ্যা ১৫ শতাংশ বেশি।
সিনেটর প্যাটি মুরে বলেছেন, “এটি মহামারীর রূপ নিয়েছে যা অবজ্ঞা করার কোনো উপায় নেই।”
সেনা ও বয়স্কদের মধ্যে আত্মহত্যারোধে মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় গত বছর আইন আরো কার্যকর করার জন্য প্রচারণা চালিয়েছেন ও সমর্থন যুগিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের নতুন প্রজন্ম, কর্মজীবী এবং বয়োজ্যেষ্ঠরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। আজকের সংবাদ আমাদের সেই বিষয়টিই মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে তারা মাঝপথে থেমে যেতে পারেন না, হারিয়ে যেতে পারেন না।”
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ১৮২ জন, নৌবাহিনীতে ৬০ জন, বিমান বাহিনীতে ৫৯ জন এবং মেরিন বাহিনীতে ৪৮ জন সদস্য আত্মহত্যা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা জানিয়েছিলেন, ২০১১ সালে মন্ত্রিত্ব গ্রহণের পর তিনি যেসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল কাছে এই আত্মহত্যার ঘটনাগুলো।
আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, ২৩৭ জন মার্কিন সেনা ২০১২ সালে আফগানিস্তানে লড়াইরত অবস্থায় নিহত হয়েছে। আর আফগানিস্তানের বাইরে নিহতের সংখ্যা যোগ করলে সেই সংখ্যা ৩১৩ জনে দাঁড়ায়।
অর্থাৎ ২০১২ সালে আত্মহত্যাকারী মার্কিন সেনার সংখ্যা যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইরত অবস্থায় নিহত সেনার সংখ্যার চেয়ে বেশি।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা বাহিনী পাঠানোর পর থেকে ২০১২ সালেই সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা আত্মহত্যা করল।
আমেরিকায় প্রতি ৮০ মিনিটে একজন বয়স্ক ব্যক্তি আত্মহত্যা করে। আর এই অবস্থা আরো বাজে দিকে যেতে পারে বলে দেশটির বয়স্ক বিষয়ক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।
[বাংলাদেশটাইমস.নেট/আন্তর্জাতিক ডেস্ক]