আজ || বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর        গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন       ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগকে এদেশের মানুষ মাথা তুলে দাড়াতে দিবেনা : সালাউদ্দীন আহমেদ    
 


বিদায়ী বছরে ছিল রেকর্ড পরিমান বিদেশী বিনিয়োগ

দেশের শেয়ারবাজারে মন্দা প্রবণতা থাকলেও ইতিবাচক ধারায় রয়েছে বিদেশী বিনিয়োগ। সদ্য সমাপ্ত বছরে শেয়ারবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিট বিনিয়োগ ৭৯২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যা দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ বিদেশী বিনিয়োগ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই’র বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৫ বছরের মধ্যে ৩ বছর (২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সাল) বিদেশীরা শেয়ারবাজারে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন উঠিয়ে নিয়েছেন তার চেয়ে বেশি। আর বাকি ২ বছরে (২০১১ ও ২০১২ সাল) নতুন করে কিছু বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রাপ্ততথ্য মতে, ২০১২ সাল শেষে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেনের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৪৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে বিক্রয়ের পরিমান ৫৫৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অর্থাৎ নতুন করে বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে ৭৯২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

এদিকে ২০১১ সালের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বছরটিতে বিদেশীদের মোট লেনদেনের পরিমান ছিল ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ২৩ টাকার ওপরে। যা ২০১২ সালের তুলনায় ৪৫১ কোটি টাকা বেশি। তবে বছরটিতে বিদেশীদের শেয়ার বিক্রয়ের প্রবণতা ছিল ২০১২ সালের তুলনায় বেশি। এ সময় ১ হাজার ২১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে বিক্রয় ছিল ১ হাজার ১৩৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছর শেষে বিদেশীদের নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

প্রাপ্ততথ্য মতে, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার থেকে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেন ২০১০ সালে। বছরটিতে বিদেশীদের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের পরিমান ছিল ৬৭৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পাশাপাশি এ বছর বিদেশী লেনদেনের পরিমানও ছিল সর্বোচ্চ। এ সময় মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৮৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যার মধ্যে ক্রয় ছিল ১ হাজার ৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আর বিক্রয় ১ হাজার ৭৫৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

এর আগের বছরটিতে অর্থাৎ ২০০৯ সালে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ২৭৫ কোটি ১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেন। এ সময় ৫৮১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়ের পরিমান দাঁড়ায় ৮৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। মোট লেনদেন ১ হাজার ৪৩৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

২০০৮ সালের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরটিতে বিদেশী বিনয়োগকারীরা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেন ২৬৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ৫৫০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়ের বিপরীতে এ সময়ে তাদের বিক্রয় ছিল ৮১৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। মোট লেনদেন ছিল ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশী বিনয়োগকারীরা তথ্য নির্ভর বিনিয়োগ করেন। তারা হুজগে বা গুজবে বিনিয়োগ করেন না। তাদের বিনিয়োগ হয় কোম্পানির সার্বিক তথ্য পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে।

তাদের মতে, গত দুই বছর ধরে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারমূল্য বিনিয়োগের আকর্ষণীয় পর্যায়ে রয়েছে। যা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির মূল কারণ। এ সময়ে দুই একটি কোম্পানির শেয়ারে আকস্মিক উল্লষ্ফন ঘটেছে। তবে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ায়ে বিনিয়োগ করেননি। তাদের বিনিয়োগ রয়েছে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারে।

ডিএসই সভাপতি রকিবুর রহমান বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা তথ্য নির্ভর বিনিয়োগ করেন। শেয়ারবাজারের বর্তমান সময়কে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সময় উল্লেখ করে ডিএসই সভাপতি বলেন, এ সময় বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির চেয়ে দেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি জরুরি। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং স্টক ব্রোকারদের বাজারে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!