পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে এবং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে ১৩ দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতপাঁচ বছরে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে এসব চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।এর ফলে এসব দেশের সঙ্গে কোনো অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটলে বা সন্ত্রাসে অর্থায়নের কোনো তথ্য পাওয়া গেলে বাংলাদেশ তা জানতে পারবে।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রজানায়, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং অর্থ পাচার বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থা এগমন্টগ্রুপ অব ফিন্যানসিয়াল ইনটেলিজেন্সের (আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট) সদস্য হতেনা পেরে বাংলাদেশ এসব দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে গিয়েছে।এ ব্যাপারেজানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের (বিএফআইইউ) মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ জানান, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবংদেশ থেকে অর্থ পাচার যাতে না হয় এবং এমন ঘটনা ঘটলে যাতে তার তথ্য আমরা পেতেপারি এজন্য আমরা ১৩টি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক তথ্য আদান প্রদানের জন্যচুক্তি করেছি। সূত্র মতে, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত যেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে সেগুলো হলো- মালয়েশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণকোরিয়া, আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মংগোলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।চুক্তির শর্ত মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এসব দেশ বাংলাদেশ সংক্রান্ত কোনো আর্থিক অপরাধের তথ্য জানাতে বাধ্য। এসব দেশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অথবা বাংলাদেশ তথ্য জানতে চাইলে তা জানাবে।শর্ত মতে, সংশ্লিষ্ট কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের সন্দেহ জনক কোনো লেনদেনের তথ্যাদি সরবরাহ করবে।যার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিতে পারবে ব্যবস্থা। অন্য দিকে, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করছে। সে বছরই বাংলাদেশ এর সদস্য হতে আবেদন করে। তবে শর্তের বেড়াজালে পাঁচ বছরেও তা মেলেনি।
সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে এগমন্ডের সদস্য ১৩০টি দেশ। ১৯৯৫সাল থেকে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবংআর্থিক খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করছে। এছাড়া এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলো একে অন্যকে অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্য দিতে বাধ্য।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩