আজ || শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম :
  অপহরনের ৭ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার হলো গোপালপুরের আসলাম       সেবা বন্ধ রেখে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করলো গোপালপুর নির্বাচন অফিস       হৃদয়কে শহীদি মর্যাদার দাবিতে গোপালপুরে মানববন্ধন       গোপালপুরে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন       কাকাতালীয়ের বয়ান       রমজান মাসে রোজা ও দান-সদকার ফজিলত       গোপালপুরে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুর পাবলিক ক্লাব ও গ্রন্থাগারের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত       গোপালপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত       লাইটহাউজ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত    
 


ধর্ষণ হত্যা মামলাঃ ২ জনের ফাঁসির আদেশ

দুইজন পোশাক কর্মীকে ধর্ষণের পর একজনকে হত্যার করে মরদেহ সাত টুকরা করার মামলায় দুই জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সাদেকুল ইসলাম তালুকদার এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিদের ফাঁসির পাশাপাশি প্রত্যেকের ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

অর্থদন্ডের ওই টাকা ঢাকা জেলা কালেকটরকে আদায় করে আদালতের মাধ্যমে ভিকটিমের দুই পরিবারকে দেওয়া জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, মো. মোস্তফা (২২) ও নজরুল ইসলাম (৪২)।দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মোস্তফা শুরু থেকে পলাতক এবং নজরুল হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর পলাতক রয়েছেন।

ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আজগর স্বপন জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তফা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পাটুরিয়া গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি ধর্ষিতার দূর সম্পের্কের চাচা হন। অপর দন্ডপ্রাপ্ত তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী নজরুল গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার রামদেব গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।

রায় ঘোষণার আগে মামলাটির ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মামলাটিতে ২০০৭ সালের ১৯ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মিরপুর থানার এসআই পারুল খাতুন।

২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মিরপুরের ২নং সেকশনের জি-ব্লকের একটি বাড়িতে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সেকশনের ১৫ নম্বর রোডে পরদিন সকালে বাজারের ব্যাগে নিহতের সাত টুকরা মরদেহ পাওয়া যায়।

রোজার মাসে ঈদ উপলক্ষে দূর সম্পর্কের চাচা আসামি মোস্তফা তাদের ডেকে নেয় কিছু কিনে দেওয়ার জন্য। ইফতার করিয়ে তাদের আসামি নজরুলের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রাতভর তাদের ধর্ষণ করে। ভিকটিমদের একজন ঘটনা পুলিশকে বলে দেবে জানালে তাকে হত্যার পর তার লাশ সাত টুকরো করে। অপর ভিকটিম না বলার শর্তে আসামিদের হাত-পা ধরে মুক্তি পান।

উল্লেখ্য, নিহতের বাড়িও ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পাটুরিয়া গ্রামে। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন বলে জানা যায়।

[বাংলাদেশটাইমস.নেট/মিলি/ঢাকা]

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!