আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য রাজনৈতিক দলের নেতারা সরকারি বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
চার দিন বিরতি দিয়ে ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিরা জানিয়েছেন।
শুক্রবার ফজর বয়ান করেন দিল্লি থেকে আগত তাবলীগের মুরুব্বি মাওলানা মোহাম্মদ শওকত আলী। উর্দু ভাষায় প্রদত্ত তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মজিদ।
এর পর সকাল সাড়ে ১০টায় বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল হোসেন। বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা নিয়াজী আজমত উল্লাহ। তরজমা করেন মাওলানা নূর রহমান। একই সাথে এসব বয়ান ইজতেমায় আগত বিভিন্ন ভাষা ভাষীদের পৃথক পৃথক জামাতে তরজমা করে শুনানো হচ্ছে। বয়ান চলাকালে ময়দানজুড়ে নীরবতা বজায় ছিল।
ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিরা সুবিশাল প্যান্ডেলের নিচে অবস্থানরত দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশ্যে তাবলিগের ছয় উসূল (৬টি মৌলিক বিষয়) যথা- কালিমা, নামাজ, ইলম ও জিকির, ইকরামুল মুসলিমিন (মুসলমানদের প্রতি সদাচারণ),তাসহিয়ে নিয়ত (শুদ্ধ নিয়ত) এবং তাবলিগ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ৮৭টি দেশের প্রায় ১০ হাজার বিদেশী মুসল্লি ইজতেমায় শরিক হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৯৬৬ জন বিভিন্ন মেয়াদের চিল্লাধারী মুসল্লি এবং বাকি ২৯৮০ জন শুধু ইজতেমায় অংশ নিয়ে আখেরি মোনাজাত শেষে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন বলে ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লিদের ইজতেকবাল (অভ্যর্থনা) কক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমান আদালত, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় পানি, বিদ্যুৎ এবং টয়লেটের উন্নত ব্যবস্থা থাকায় ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের অনেকে আকস্মিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২দিনে গুরুতর অসুস্থ ৩০ জন মুসল্লি ভর্তি ও ৮ জনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অ্যাজমা ও হার্টের রোগীর সংখ্যাই বেশি।
এদিকে, ইজতেমা ময়দানের মূল মঞ্চে শুক্রবার বাদ আসর কনের অভিভাবক ও বরের উপস্থিতিতে যৌতুক বিহীন গণবিবাহ পড়ানো হয়। বিবাহ শেষে মঞ্চে খেজুর ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত শতাধিক জোড়া বর ও কনের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।