জীবন বাঁচাতে মূমুর্ষ রবিদাস মুরমুর হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানো হলোনা আর। মৃত্যু পথযাত্রী রোগীকে পথেই চাপা দিয়ে মারলো ঘাতক বাস। শনিবার সকালে নওগাঁর মান্দায় মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনায় রোগীর সাথে তার ভাইও প্রাণ হারায়। আহত হয় আরো পাঁচ জন। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে চিকিৎসাধীন জেলার ধামইরহাট উপজেলার পশ্চিম চকভবানী গ্রামের মৃত্য বৈদ্যনাথ মুরমুর ছেলে রবিদাস মুরমুর স্ত্রী পারভীন দাস জানান, তার অসুস্থ্য স্বামীকে চিকিৎসার জন্য একটি মাইক্রোবাস (বগুড়া ছ-১১০০-২০) যোগে তারা ধামইরহাট থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। বেলা ১০ টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের মান্দা উপজেলার জলছত্র মোড় নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে মান্দা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্রুতি পরিবহণের একটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাস (বগুড়া ব-৪২৭৫) তাদের মাইক্রোবাসকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ফলে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে মাইক্রোবাসের যাত্রী রোগী রবিদাস মুরমু (৩৫) ও তার বড় ভাই বিশ্বনাথ মুরমু (৪০) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় রবিদাসের স্ত্রী পারভীন (৩০), বিশ্বনাথের স্ত্রী মাকলু মুরমু (৩২), রবিদাসের চাচাত ভাই মিষ্টার জার্মান (৩০), প্রতিবেসী গোলজার হোসেন (৩০) ও রুবেল (৩০)।
তাদেরকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। ফলে মহাসড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। মান্দা থানার ওসি আব্দুল্লাহেল বাকী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এব্যাপারে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহাদেবপুর থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটা মোড় ফাঁড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে ঘাতক বাসটিকে আটক করে। তবে ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নওগাঁর জেলা প্রশাসক এনামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ থেকে।