আজ || বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে ‘কল্যাণের শপথ সেবা সংঘ’র কমিটি গঠন       গোপালপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর     
 


শিক্ষকদের উপর পুলিশের হামলা, মন্ত্রী বললেন জামায়াত-শিবিরের কাজ

বেসরকারি শিক্ষকদের উপর পুলিশের হামলা। শিক্ষক-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের প্রতি শিক্ষকদের ইট-পাটকেল এবং পুলিশের টিয়ারশেল ও ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়া চলছে। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এমপিওভুক্তির দাবিতে নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা বুধবার অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গেলে এ সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

দুপুর ১টায় মিছিল নিয়ে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মন্ত্রণালয় দু’টির উদ্দেশ্যে রওনা হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সামান্য দূরে অগ্রসর হওয়ার পর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তয় ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। শিক্ষক-কর্মচারীরা পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোতে চেষ্টা করলে টিয়ারশেল ও গরম পানি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় শিক্ষকরাও ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করলে তাদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। এরপর ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ছে পুলিশ। এ সংঘর্ষে এরই মধ্যে ২০/২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের গায়ে রাবার বুলেট লেগেছে। অন্যদিকে ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি শিবলী নোমানসহ কমপক্ষে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন ইটপাটকেলের আঘাতে। এছাড়া পাশে চলমান স্বাস্থ্য মণ্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের অন্য একটি কর্মসূচিতে আসা বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজির ছাত্র শাওনের মাথা ইট লেগে ফেটে গিয়েছে। আহত শিক্ষকদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রমনা জোনের ডিসি নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘শিক্ষকদের ঘেরাও কর্মসূচিতে আমরা নমনীয় ছিলাম। কিন্তু তারা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের ওপর যেভাবে আক্রমণ করেছেন, তা শিক্ষকসূলভ আচরণ না।”তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘জামায়াত-শিবির অরাজক পরিস্থিতি করতে চেয়েছিলো।” জামায়াত-শিবির কিভাবে ঢুকলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের ওপর যেভাবে হামলা করছে জামায়াত-শিবির, আজকের হামলাও তারই প্রমাণ।”তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা কোনো শিক্ষককে এখনো আটক করিনি। তবে জামায়াত-শিবিরের কোনো কর্মীকে পেলে আমরা আটক করবো।”এর আগে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের চলমান লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ব্যানারে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তৃতীয় দিনের মতো এ অবস্থান ধর্মঘট শুরু হয়। সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এশারত আলী এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে হাইকোর্টের মোড় থেকে শুরু করে পল্টন পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক পাশের রাস্তায় প্রায় ২০০ জন শিক্ষক-কর্মচারী অবস্থান ধর্মঘট ও সমাবেশ শুরু করেন। এর ফলে পুরো এলাকার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট অব্যাহত রয়েছে। বেলা ১টার পরে শিক্ষক-কর্মচারীরা মিছিল সহকারে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট শেষে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের নেতারা। একই সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীরা অর্থ ও শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ এবং মঙ্গলবারের শিক্ষা ভবন কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপকারী পুলিশ সদস্যদের অপসারণও দাবি করেন। আন্দোলনরতরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে। সোমবার সকাল থেকে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি চলছে। মঙ্গলবার পুলিশ শিক্ষাভবন অভিমুখে বের করা মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আটকে দিয়ে শিক্ষাভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে ।শিক্ষক-কর্মচারীরা পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙতে চেষ্টা করলে টিয়ারশেল ও গরম পানি ছোড়ে পুলিশ।এতে করে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে প্রেসক্লাব এলাকায়। পুরো এলাকার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে ছিল কয়েক ঘণ্টা। শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, এমপিওভুক্ত হওয়ার যোগ্য প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না এবং দাবি মেনে না নিলে পরে আরো কঠোর কর্মসূচি দেবেন।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!