আজ || রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর        গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন       ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগকে এদেশের মানুষ মাথা তুলে দাড়াতে দিবেনা : সালাউদ্দীন আহমেদ    
 


বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দেশে যখন চলছিল মুক্তিযুদ্ধ তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তানে। দীর্ঘ ১০ মাস পাকিস্তানে নির্জন কারাবাস শেষে ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন জন্মভূমির মাটিতে পা রাখেন বিজয়ীর বেশে।

সদ্য বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত গোটা বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে উলৱাসে ফেটে পড়ে। লাখ লাখ বীর বাঙালির আনন্দাশ্রু, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য গভীর রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি নিধনে। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে। ওই রাতেই পাকবাহিনী হাজার হাজার নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বর হামলা চালায়, শুরু করে গণহত্যা। শুধু সেদিন রাতেই ঢাকাসহ সারাদেশে ইয়াহিয়া খানের জংলিবাহিনী কয়েক হাজার মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে বঙ্গবন্ধুর ওপর নেমে আসে মৃত্যুর হুমকি। গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।

২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। তাকে স্বাধীনতার দাবি থেকে সরে আসতে বলা হয়। তা নাহলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু বাঙালির অধিকার ছাড়া তিনি কোনো কিছু মানবেন না বলে জানিয়ে দেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বির্বদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন। পাকিস্তানি বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। এ সরকারের নেতৃত্বেই চলে মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের নির্জন-অন্ধকার কারাগারে শুর্ব হয় বঙ্গবন্ধুর বিচার। এতে তার ফাঁসির আদেশ হয়। এমনকি দেয়া হয়নি আত্মপৰ সমর্থনের সুযোগও। কারাগারের যে সেলে বঙ্গবন্ধুকে রাখা হয়েছিল, সেই সেলের পাশে কবরও খোঁড়া হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবি ও প্রহসনের বিচার বন্ধ করতে প্রবল বিশ্বজনমতের চাপের মুখে স্বৈরাচার পাকিস্তানি সরকার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে সাহস পায়নি।

দীর্ঘ ৯ মাস রক্তৰয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতার প্রকৃত বিজয় অর্জন করে। স্বাধীনতা লাভের পর বিশ্বমানচিত্রে নতুন স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে বঙ্গবন্ধুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তান সরকার সদ্য ভূমিষ্ঠ স্বাধীন বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি বিজয়ীর বেশে বিশেষ বিমানে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। এ সময় অস্থায়ী সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধাসহ লাখ লাখ বাঙালি বিমানবন্দরে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো জাতির জনককে আনন্দ-উল্লাসে পুষ্পবৃষ্টিতে বরণ করে নেয়। বঙ্গবন্ধুও তার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে অকৃত্রিম ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় আবেগাপৱুত হয়ে পড়েন, প্রতিৰণেই ঢুকরে কেঁদে ওঠেন।

স্বয়ং জাতির জনক তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে। দিবসটিতে রাষ্ট্রপতি মো. জিলৱুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

দিবসটিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, সমাবেশ, র‌্যালি, রক্তদান।

[বাংলাদেশটাইমস.নেট/টাইমস ডেস্ক/ঢাকা]

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!