আজ || মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে মুক্তিপনের দাবিতে অপহৃত শিশুর গলিত লাশ কালিয়াকৈর থেকে উদ্ধার; গ্রেফতার ২       গোপালপুরের মোহনপুরে পোস্টঅফিসের ঘর না থাকায় ভোগান্তি       গোপালপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা       গোপালপুরে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মোমেন গ্রেফতার; ফাঁসির দাবিতে মিছিল       গোপালপুরে ডেইরি ফার্ম মালিক ও আইএফআইসি ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতবিনিময়       গোপালপুর উপজেলা ডেইরি ফার্ম মালিক সমিতির কমিটি গঠন       বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে -ইলিয়াস হোসেন       গোপালপুরে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত       গোপালপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা       গোপালপুরে ১০ম গ্রেড প্রদানের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন    
 


বঙ্গোপসাগরে ১১ জেলেকে হত্যা

শনিবার রাতে বঙ্গোপসাগরের সোনারচর নামক স্থানে এফবি ইসরাত নামের একটি এসময় ট্রলারে হামলা চালিয়ে ১১ জেলেকে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা জলদস্যূরা। তবে এখনও পর্যন্ত এসব জেলের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার পর মিয়ানমারে পালানোর সময় আবদুল হামিদ নামের একজন রোহিঙ্গা জলদস্যুকে আটক করেছে উখিয়ার ইনানী  ফাড়ির পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে দেয়া জবানবন্দিকে হামিদ ১১জেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এদিকে হত্যার খবরে পাথরঘাটা জেলে পল্লীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বরগুনা জেলা জেলে সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান মাঝি জানান, শুক্রবার বিকেলে এফবি ইসরাত ট্রলারটি ১৬জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। শনিবার রাতে সোনার চর এলাকায় পৌঁছলে ট্রলারেরই পাঁচ রোহিঙ্গা জেলে ঘুমন্ত জেলেদের ওপর হামলা চালায়। মান্নান মাঝি জানান, তার ধারনা রোহিঙ্গারা ট্রলার ও মালামাল লুটের জন্য  এসব জেলেদের হত্যা করেছে।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈদ মিয়া জানান, হামিদ পুলিশকে জানিয়েছে, মুলত ট্রলারে থাকা পাঁচজন রোহিঙ্গা মূলত জলদস্যু দলের সঙ্গে জড়িত। শনিবার রাতে কিরিচ দিয়ে ১১ জন বাংলাদেশি জেলেকে হত্যা করে লাশ সাগরে ফেলে ট্রলার নিয়ে তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছিলেন। ট্রলারে তাঁর সঙ্গে চারজন রোহিঙ্গা জলদুস্য ছিলেন। তাঁরা পালিয়ে গেছেন। পাথরঘাটা থানার ওসি আজম খান ফারুকি বলেন, শনিবার ট্রলারের মালিক সেন্টু খান জিডি করেন। তবে এখনো জেলেদের মৃত্যুর বিষয়ে তাঁদের কাছে নিশ্চিত কোনো খবর নেই।

ট্রলার মালিক সেন্টু খান জানান, শনিবার রাতে হঠাত করে ট্রলারের মাঝি আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ বন্ধ হয়। রোববার কক্সবাজার থেকে মুঠোফোনে জানতে পারেন তার ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে এবং মাঝি মাল্লারা নিখোঁজ। এখনও পর্যন্ত এসব জেলের কোন সন্ধান মেলেনি। সেন্টু খান আরও জানান,রোহিঙ্গারা জেলে সেজে ট্রলারে ডাকাতি করার জন্যই সাগরে যায়। পাথরঘাটার জেলেদের ভাগ্যে মুলত কী ঘটেছে তিনি বলতে পারছেন না।
নিখোঁজ জেলেরা হল, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বেলাল, সৈয়দ আলম মাঝি, সোহাগ, জাফর, আব্বাস, বাবুল মিস্ত্রী ও কক্সবাজারের জসীম। অপর তিন জেলের নাম এখনও জানা যায়নি

এদিকে ১১ জেলেকে হত্যা করা হয়েছে এমন খবরে স্বজনদের আহাজারিতে পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের জিয়া মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। রোববার সকালে নিখোঁজ জেলেদের বাড়িতে গিয়েদেখা যায়, জেলে শাহ আলমের স্ত্রী ফরিদা  বগেম বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। জেলে সোহাগ  জাফর ও বাবুলের পরিবাওে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাদের সবার দাবী, অন্তত স্বামীর মৃতদেহটি হলেও দেখতে চান। একদিকে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অসহায়, অপরদিকে প্রিয়জনের লাশ না দেখতে পারার সংশয়ে জেলেদের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আখতার মুঠোফোনে জানান, জেলে ও জলদস্যুদের সন্ধানে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!