সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ নির্মল সেন আর নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।স্নায়ুরোগ বিভাগের চিকিৎসক সিরাজুল হক জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
নির্মল সেনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া শোক প্রকাশ করেছেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর রবিবার গুরুতর অবস্থায় তাকে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় এনে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায়ই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বক্ষব্যধি বিশেষজ্ঞ সাইদুল ইসলাম এবং স্নায়ুরোগ বিভাগের চিকিৎসক সিরাজুল হকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দিঘীরপাড় গ্রামে নিজের বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে নির্মল সেনকে গত ২২ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ঢাকায় আনা।
নির্মল সেন ২০০৩ সালে ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ঢাকার পিজি হাসপাতাল, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হলেও শরীরের একপাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত থেকে যায়।
এরপর সাভার সিআরপিতে নির্মল সেন দীর্ঘ ৮ মাস চিকিৎসা নেন। পরে তিনি ঢাকায় কয়েক বছর অবস্থান করলেও অর্থসংকটের কারণে চলে যান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়।
এরপর থেকে গত ৪ বছর ধরে বিশিষ্ট এই সাংবাদিক গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দীঘিরপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি নির্মল সেনের। পরে কমিউনিস্ট আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন শ্রমিক-কৃষক সমাজবাদী দলের নেতৃত্ব দেন, পরে দলটি গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টিতে একীভূত হয়।
সাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘকাল দৈনিক বাংলায় কাজ করেন নির্মল সেন। দৈনিক বাংলা বিলুপ্তির পর পাওনা আদায়ে অনশনে বসেছিলেন তিনি।