গতকাল সাতকানিয়ার বাজালিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪টি পরিবারের সর্বস্ব ভষ্মীভূত হয়েছে। ৬জানুয়ারি রবিবার সকালে বাজালিয়া বুড়ির দোকান এলাকায় গোবিন্দ পাড়ার বড়দা‘র ঘাটায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, “সকাল সাড়ে এগারো ঘটিকায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকান্ডের সৃৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী উপস্থিত হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।” এতে ১৪টি পরিবারের ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও ১২ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসমূহের কর্তাদের মতে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অগ্নিকান্ডে সাতকানিয়া পূঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তাপস দত্ত, অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার অমল দত্ত, পেশাজীবি মদন দত্ত, রতন দত্ত, চন্দন দত্ত, ঝুলন দত্ত, উজ্জল দত্ত, সমির দত্ত, সুমন দত্ত, অমর দত্ত, স্নেহাংশু দত্ত, বিপ্লব দত্ত ও প্রতিমা শিল্পী রতন পালের বাড়িঘর, বাড়ির আসবাবপত্র, স্বর্ণ, নগদ টাকা, পোষাক-পরিচ্ছদ, বই-খাতাসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নিকান্ডের শিকার ঝুলন দত্ত চাকরি করেন নগরীর একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে। তার স্ত্রী টিকলি দত্ত ঘরণী নামক একটি এনজিও‘র ম্যালেরিয়া প্রোগ্রামের মাঠকর্মী। ঝুলনের ছোটভাই উজ্জল পদুয়া ভূমি অফিসের এমএলএসএস। অগ্নিকান্ডের সময় তারা সবাই ছিলেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে। আগুণে তাদের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে তারা দেখেন তাদের কিছুই বাকি নেই। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আগুনে সব হারিয়ে টিকলি এবং উজ্জল বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। শরীরে পরিহিত কাপড়টি ছাড়া তাদের সম্বল বলতে এখন আর কিছুই নেই। অন্যান্য পরিবারসমূহের চিত্রও প্রায় অভিন্ন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি পরিবারে স্বর্ণ, নগদ টাকা এবং দামি আসবাবপত্র ও পণ্য ছিল। সর্বনাশী আগুন তাদের সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে। -মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন, সাতকানিয়া চট্টগ্রাম থেকে।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩