ভারতের মান বাঁচিয়েছেন বোলাররা। তাদের সৌজন্যে মাত্র ১৬৭ রান করেও তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ১০ রানে হারিয়েছে ভারত। তবে এরপরও তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে অতিথিদের।
দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ ওভার ৪ বলে ১৬৭ রানেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস। জবাবে ৪৮ ওভার ৫ বলে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪ রানেই কামরান আকমল ও ইউনুস খান সাজঘরে ফেরায় পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি।
তৃতীয় উইকেটে নাসির জামশেদের সঙ্গে ৪৭ ও চতুর্থ উইকেটে উমর আকমলের সঙ্গে ৫২ রানের দুটি ভালো জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। দলীয় ১১৩ রানে মিসবাহকে অজিঙ্কা রাহানের ক্যাচে পরিণত রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভারতকে খেলায় ফেরান।
আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে শোয়েব মালিকের দ্রুত বিদায় ও অহেতুক ঝুঁকি নিতে গিয়ে উমরের বিদায়ে ভীষণ চাপে পড়ে অতিথিরা, ১১৩/৩ থেকে পাকিস্তান পরিণত হয় ১২৫/৬ এ।
মহেন্দ্র সিং ধোনির শট ঠেকাতে গিয়ে আঙ্গুলে চোট পাওয়া হাফিজ ব্যাট করতে নামেন ৭ নম্বরে। তিনি চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু অতিরিক্ত মারতে গিয়ে তিনিও বিদায় নিলে হার এড়াতে পারেনি পাকিস্তান।
৩৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার ইশান্ত শর্মা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। মোহাম্মদ ইরফান ও জুনায়েদ খানের মারাত্মক বোলিংয়ে ৩৭ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক যুবরাজ সিংকে বোল্ড করে স্বাগতিকদের বড় একটা ধাক্কা দেন মোহাম্মদ হাফিজ। সিরিজে স্বাগতিকদের সেরা দুই ব্যাটসম্যান ধোনি ও সুরেশ রায়না পঞ্চম উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।
২৯তম ওভারে পরপর দুই বলে রায়না ও অশ্বিনকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতকে বিপদে ফেলেন সাঈদ আজমল।
সিরিজে প্রথমবারের মতো ধোনির আউট ভারতের বিপদ আরো বাড়ায়। ৫৫ বলে ৩টি ছক্কা ও ১টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করে গুলের বলে উমরের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ২০১১ সালের ৩০ মার্চের পর এই প্রথম দেশের মাটিতে ওয়ানডেতে আউট হলেন তিনি।
এরপর ভুবনেশ্বর কুমার, ইশান্ত শর্মা ও রবীন্দ্র জাদেজাকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে স্বাগতিকদের বেশি দূর এগোতে দেননি আজমল।
২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার আজমল। এ নিয়ে দুবার ৫ উইকেট নিলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১৬৭ (গম্ভীর ১৫, রাহানে ৪, কোহলি ৭, যুবরাজ ২৩, রায়না ৩১, ধোনি ৩৬, অশ্বিন ০, জাদেজা ২৭, ভুবনেশ্বর ২, ইশান্ত ৫, সামি ০*; আজমল ৫/২৪, ইরফান ২/২৮, জুনায়েদ ১/১৭, হাফিজ ১/৪৪, গুল ১/৪৫)
পাকিস্তান: ১৫৭ (জামশেদ ৩৪, কামরান ০, ইউনুস ৬, মিসবাহ ৩৯, উমর ২৫, শোয়েব ৫, হাফিজ ২১, গুল ১১, আজমল ১, জুনায়েদ ০, ইরফান ০*; ইশান্ত ৩/৩৬, ভুবনেশ্বর ২/৩১, অশ্বিন ২/৪৭, জাদেজা ১/১৯, সামি ১/২৩)