ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আনন্দ নগর গ্রাম থেকে শনিবার রাতে ঢাকার ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে র্যাবের পোশাক পরে একটি সাদা মাইক্রোবাসে এসে বিএনপি নেতা ও বঙ্গবাজার মার্কেট
কমিটির সহ-সভাপতি রফিকুলকে তুলে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্বৃতি দিয়ে রফিকুলের ভাইরা সাইদুর রহমান সাইদ জানান, সাভারে নিজের ফ্যাক্টরী থেকে ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে শুক্রবার রাতে রফিকুল ইসলাম শৈলকুপার আনন্দ নগর গ্রামে ভাইরার বাড়িতে আসেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রফিকুল শ্বাশুড়িসহ স্বজনদের সাথে বসে গল্প করার সময় সাদা মাইক্রোবাস এসে বাড়ির সামনে থামে।
তিনি আরো জানান, এ সময় র্যাবের পোষাক পরে ৬/৭ জন লোক এসে রফিকুলকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা বলে যায় ঝিনাইদহ র্যাব অফিসে যোগাযোগ করতে। নিয়ে যাওয়ার সময় শিল্পপতি রফিকুলের কাছে আনুমানিক ১৮ লাখ টাকা ছিল বলে ভাইরা সাইদ জানান। রফিকুলের শ্বাশুড়ী লিপি খাতুন আশংকা প্রকাশ করে জানান, চৌধুরী আলমের মতো তার জামাইকেও হয়তো ক্ষতি করতে পারে। তিনি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শৈলকুপা থানায় জিডির উদ্যেশ্যে আনন্দ নগর গ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল হক জানান, তাদের কোন টিম রফিকুলকে আনেননি। তিনি আরো জানান, কুষ্টিয়ার র্যাব রফিকুলকে নিয়ে গেছে কিনা তা তার পরিবারের লোকজন খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে খোজ খবর নিচ্ছেন বলেও জানান। র্যাব অধিনায়ক জানান, র্যাবের পরিচয় দিয়ে অন্য কেউ রফিকুলকে নিয়ে গেল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, এ বিষয়ে তাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেন নি।
এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। এবিষয়ে বিএনপি খোজ খবর নিচ্ছে বলেও তিনি জানান।