আজ || সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম :
  গোপালপুরে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’র (SEIP) কর্মশালা       গোপালপুরে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের এ্যাডভোকেসি সভা       গোপালপুরে কয়েলের আগুনে পুড়ে মারা গেছে কৃষকের ৩ গরু       গোপালপুরে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ম্যাজিস্ট্রেট       গোপালপুরে বনায়নের নামে সরকারি অর্থের বৃক্ষচারা গরু-ছাগলের পেটে       গোপালপুরের অদম্য মেধাবী সামির সম্ভাবনার গল্প       গোপালপুরে গর্ভবতী গাভী জবাই করে গোস্ত নিয়ে রেখে গেছে মৃত বাছুর       গোপালপুরে ৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন       গোপালপুরে বিলুপ্তপ্রায় হেমনগরের গোয়ালবাড়ি খাল       গোপালপুরে যমুনার চরাঞ্চল ঘিরে সম্ভাবনার দুয়ার    
 


হরতালে এবার মাঠে থাকছে বেতনভুক্ত-প্রশিক্ষিত ক্যাডার!

রোববার ১৮ দলের হরতালে জোটের ব্যানার কাজে লাগিয়ে সহিংসতার প্রস্তুতিনিচ্ছে জামায়াত- শিবির ক্যাডাররা। বিএনপির ঘারে ভর দিয়ে নিজেদের দাবিআদায়ের সুযোগ তৈরির ষড়যন্ত্র করছে দলটি। সূত্র জানিয়েছে, এবারের হরতালেসহিংস কর্মকাণ্ডে দলের প্রশিক্ষিত বাহিনীকে মাঠে নামানোর সব প্রস্তুতিওসম্পন্ন করেছে শিবির। সূত্রটি জানায়, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটকজামায়াত নেতাদের পুনরায় বিচারের আবেদন ট্রাইব্যুনাল খারিজ করে দেওয়ায়ক্রুদ্ধ শিবির ক্যাডাররা প্রতিশোধ নিতে সহিংস পথই বেছে নিচ্ছে।

জ্বালানিতেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদের আড়ালে জামাত-শিবির যুদ্ধাপরাধীদের বিচারবন্ধের দাবিকেই সামনে নিয়ে আসবে এই হরতালেও।অতীতেও দেখা গেছে, যেদাবিতেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট হরতাল দিক না কেনো জামাত-শিবিরেরহাতে থাকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের স্লোগান দেওয়া ব্যানার ফেস্টুন।গত২৬ ডিসেম্বরের পথসভার কর্মসূচি এবং তারও আগে ৯ ডিসেম্বরের অবরোধকর্মসূচিতে শিবিরকেই দেখা গেছে সবচেয়ে সক্রিয়। পথসভার কর্মসূচিতে শিবিরপ্রকাশ্যে ‘রক্ত খাওয়া’র হুমকি দিয়ে স্লোগান দিয়েছে যা অনেকেরই কানেবেজেছে।খালেদা জিয়ার জনসভাগুলোতেও দেখা যায় বিএনপিসহ অন্যশরিকদলগুলোর ভূমিকা ক্ষীণ। সবচেয়ে জঙ্গিরূপ দেখা যায় জামায়াতে ইসলামিরশক্তির প্রধান উৎস শিবিরের উপস্থিতি ও আচরণে।তবে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারের হরতালে শিবিরের সবচেয়ে সহিংস রূপ দেখা যাবে বলেই ধারনা দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।বিশেষকরে ঢাকা মহানগরীর কমিটির গুলোর সভাপতি সেক্রেটারি জেনারেলদের কৌশলেগোয়েন্দা পুলিশ আটক করে নেওয়ার পর এই সহিংসতার পথকেই শিবির তার একমাত্রকৌশল হিসেবে দেখছে।শিবিরের এক নেতা জানান, যদিও জামায়াতসহ ১৮ দলকেনিয়ে বিএনপি হরতাল ডেকেছে, তবু জামায়াত তাদের নিজস্ব অঘোষিত ইস্যুতেই এইকর্মসূচি পালন করবে। হরতাল পালন করবে তারা একদমই নিজেদের মতো করে।তিনিজানান, এবারের হরতালে সহিংসতার জন্য শিবিরের বিশেষ ক্যাডার বাহিনীকে নামানো হবে। এই বাহিনীর ‘আলাদা প্রশিক্ষণ’ রয়েছে। এ ক্যাডাররা শুধুসহিংসতার জন্যই বেতন পায়।তিনি বলেন, এই বাহিনীকে কোনো অনুষ্ঠান বা নিরীহ কর্মসূচিতে মাঠে নামানো হয় না। তাদের মূল কাজ পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাংচুর।হরতালেরসুযোগ কতোটা ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়, সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাত থেকেইনেতাকর্মীদের মধ্যে শলা-পরামর্শ চলছে বলে এই নেতা জানান ঢাকামহানগর জামায়তের সহকারি সেক্রেটারি ও শিবিরের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলামমাসুদ এ ব্যাপারটি অস্বীকার করে বলেন, “জামায়াত-শিবিরেবেতনভুক্ত কোনো কর্মী নেই। বরং তারা এয়ানৎ (অনুদান) দিয়ে দলকে চালান। তাইবেতনভুক্ত ও প্রশিক্ষিত কর্মী নামাবে শিবির, এ কথা ভুল।”তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মীরা অতীতের মতো রোববারের হরতালেও স্বত্বঃস্ফূর্তভাবে সক্রিয় থাকবে। জামায়াত সাংগঠনিকভাবে সবসময় শক্তিশালী দাবি করে তিনি বলেন, “নির্যাতন করে একেথামানো যাবে না। সহিংসতার রাজনীতি জামায়াত বিশ্বাস করে না। কোনো রকম সহিংসকর্মকাণ্ড করে ১৮ দলের ঘাড়ে চাপানোর ইচ্ছা জামায়াতের নেই।”ভিন্নসূত্র জানায়, জামায়াতের আন্দোলনের মূল ইস্যু তাদের নেতাদের মুক্তি।যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটকদের পূনর্বিচারের আবেদন খারিজ হওয়ায় কঠোর ও সহিংসআন্দোলনে নামার সুযোগ খুঁজছিলো দলটি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলকরে, ভাংচুর করে, আগুন জ্বালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে গত তিন দিন ধরেই।তবে পুলিশের সতর্কতায় ও একক কর্মসূচিতে তেমন সুবিধা করতে পারছিল নাজামায়াত-শিবির।আর এ কারণেই হরতাল কর্মসূচিকে বড় সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চায় তারা।শিবিরেরঅপর নেতা এক জানান, রোববারের হরতালে জামায়াত যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রলম্বিতকরতে আরো ইস্যু তৈরির চেষ্টা করবে। এদিন সহিংস কর্মকান্ড যাই হবে, তার দোষ স্বাভাবিকভাবেই বিএনপিসহ ১৮ দলের ওপর বর্তাবে। তাই কিছুটা চাপমুক্ত থাকবে জামায়াত।সূত্রমতে, দলের বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতারা জেলে। জামায়াতের নেতৃত্ব দেয়ার মতো নেতা এখন উল্লেখযোগ্য কেউ নেই। সর্বশেষ আবদুল্লাহ মো.তাহের আটক হয়েছেন, হামিদুর রহমান আযাদও পলাতক। এ অবস্থায় শিবির মনে করছেসহিংস পথ ছাড়া অন্য কোনো পথ তাদের ‍সামনে নেই। শিবিরের ওই নেতা বলেন, “প্রতিশোধের এই সুযোগ ষোলোআনা কাজে লাগানো হবে।” এদিকেঅপর একটি সূত্র জানায়, এবার হরতালে বাধা দিলে বা নেতাদের আটক করলেআন্দোলনের নতুন ইস্যু পেয়ে যাবে ১৮ দলীয় জোট। ফলে জামায়াত নেতাদের বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হবে। এটাই তাদের প্রত্যাশা।

রোববারের হরতালে ১৮ দলেরব্যানারে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেবে শিবির ক্যাডাররা। সরকারকে আবারো মনেকরিয়ে দেবে ‘জামায়াতের মূল দাবি দলের নেতাদের মুক্তি।’

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!