বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির একটাই গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন। তারা দেশবাসীকে সন্ত্রাস, লুটপাট, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং উপহার দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করেছিল।
আর আমরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছি। তাই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বলেছিলেন ‘সাপকে বিশ্বাস করা যায়, আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা যায় না’। শেখ হাসিনা বলেন, তারা যুদ্ধাপরাধীদের মতো বিষধর সাপের ঝাঁপি মাথায় নিয়ে চলছেন। যারা ৭১-এ গণহত্যা, লুটপাট ও মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছিল তাদের বাঁচাতে এখন মাঠে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত-শিবির চক্র।
জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি’র ময়মনসিংহ বিভাগ ও সিটি করপোরেশন, পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড, বরূপুত্র নদ ড্রেজিং এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ ডাবল রেললাইন করার দাবির প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলে আগামীতে ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন, ফুলপুরের তারাকান্দাকে উপজেলা, ময়মনসিংহকে শিক্ষা নগরী এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা রেলপথে কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালু করা হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ময়মনসিংহবাসীর দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত দাবি পূরণ না হওয়ায় সমবেত জনতার মাঝে হতাশা নেমে আসে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, বছরের প্রথমে বিনামূল্যে ২৭ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে। দরিদ্রদের বিনামূল্যে খাদ্য ও ঘর-বাড়ি করে দিয়েছি, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করেছি, স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। যা কথা দেই তা কাজে পরিণত করি।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ইউনিয়ন অফিস তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মানুষ এখন সরকারের বিভিন্ন সেবা ইউনিয়ন অফিস তথ্য কেন্দ্রে বসেই পাচ্ছে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের জেলা সভাপতি সংসদ সদস্য মতিউর রহমান।
এর আগে সকালে ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম মাঠে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সুবর্ণজয়ন্তী অ্যালামনাই পুনর্মিলনী উৎসবের উদ্বোধনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় গবেষণা করার জন্য খাদ্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।