গোপালপুর বার্তা ডেক্স :
সেনাবাহিনীর তৎপরতায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে এসেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বিএনপি, জামায়াত, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী এবং স্কাউট সদস্যরা। সহিংসতারোধে সেনাবাহিনী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। সংখ্যালঘুদের আস্থায় আনা হয়েছে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একদল দুষ্কৃতকারী হামলা চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। দুষ্কৃতকারীরা দৈনিক যুগান্তরের গোপালপুর সংবাদদাতা সেলিম হোসেনের বাড়িতেও দুই দফা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ঘটনার পর পরই পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। তাদেরকে সহযোগিতা করেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সংখ্যালঘুদের আস্থায় আনার জন্য বিএনপি সংখ্যালঘু নেতাদের সাথ বৈঠক ও শান্তি সমাবেশ করেন। বৈঠকে তাদের ধর্মীয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর রক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া হয়। টাঙ্গাইল জামায়াত ইসলামীর সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে এক বৈঠকে সকল প্রকার নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দুষ্কৃতকারীদের হুশিয়ারী দিয়ে কয়েকস্থানে মাইকিং করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, সম্পাদক কাজী লিয়াকত, উপজেলা যুবদলের সভাপতি খালিদ হাসান উথান, সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ললিনসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিভিন্নস্থানে সভাসমাবেশ করেন।
গোপালপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সমরেন্দ্র নাথ সরকার বিমল জানান, সেনাবাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসন, বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। সংখ্যালঘুদের মধ্যে ইতিমধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। এদিকে ৬ষ্ঠ দিনের মতো গোপালপুর উপজেলা রোবার স্কাউটরা পৌরশহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা এবং নানা শ্লাোগান সম্বলিত নান্দনিক দেয়াল লিখন অব্যাহত রেখেছে।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩