আজ || রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর        গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন       ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগকে এদেশের মানুষ মাথা তুলে দাড়াতে দিবেনা : সালাউদ্দীন আহমেদ    
 


সরকার তলে তলে আলোচনার কথা বলে ষড়ডন্ত্র করছেঃ খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তলে তলে আলোচনা হয় না। সরকার তলে তলে আলোচনার কথা বলে ষড়ডন্ত্র করছে। সরকার হয়তো বুঝতে পেরেছে তাদের সময় ফুরিয়ে গেছে তাই তারা জনগনকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
তিনি আরো বলেন, ফর্মূলা পরিস্কার, আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, আগামী নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ দশজন উপদেষ্টাকেই নিরপেক্ষ হতে হবে। তাদেরকে ৯০ দিনের বেশি থাকতে দেয়া যাবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, বিগত দিনে আমরা তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে প্রকাশ্যে আলোচনা করেছি। এমনকি বিদেশ থেকে বিশেষঞ্জ এসেও ফর্মূলা দিয়েছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ তখন তা মানে নি। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করার দাবী জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট চত্বরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৪তম প্রতিষ্টাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দলীয় নেতাকর্মীদের স্বরন করে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশ নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র হতে দেয়া যাবে না। আজিবন ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ দেশকে তাবেদার রাষ্ট্র বানিয়েও ক্ষমতায় থাকতে চায়।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ালীগ গণতন্ত্র বিশ্বাষ করে না। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য অবৈধ পথ অবলম্বন করে। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে তাদেরকে স্বাগত যানায়। এরশাদ এবং ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারকে বৈধতা দিয়েছে।
তারা পিছনের পথ দিয়ে ক্ষমতায় গেছে এবং অন্যদেরকে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমানে সব নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শক্তির বিজয় হচ্ছে। কারন আওয়ামী লীগ বেইমান, দেশ ধ্বংস করে, দূর্নীতি ও লুটপাট করে বলেই তারা আমাদেরকে জয়ী করছে। দেশ গড়ার জন্য আওয়ামী লীগের কেউ যদি আমাদের সাথে আসতে চায় তাহলে তাদেরকেও স্বাগত জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, প্রকৃত ছাত্রদিরয়ে ছাত্রসংগঠন তৈরি করা হবে। তাদেও হাতে থাকবে কাগজ কলম। শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে সকলের সহাবস্থান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গনে সহাবস্থান করতে পারেনা। সরকার ছাত্রলীগকে এমন ভাবে তৈরি করেছে তাদেও হাতে রয়েছে দা বল্লম। তারা র্ভতি বানিজ্য, হল দখল ও অন্যান্য সংগঠনদের কে বের করে দিচ্ছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস মারামারি চলছে। এসব যারা করছে তাদেও বিরুদ্ধে ছাত্রদেও সুসংগঠিত হবার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, খুলনা, বুয়েট, সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেল পুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এদেরকে ছাত্র বলা যায় না।
ছাত্রদেও উদ্দেশে তিনি বলেন, স্লোগান আর মারপিটের রাজনীতি চাইনা। শান্তি প্রগতির রাজনীতি চাই। বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ছাত্রদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলতে পারে। কিন্তু তারা মুক্তিযোদ্ধা নয় । কারন তারা যুদ্ধ করেনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মির্জা ফখরুলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক কওে রাখা হয়েছে কিন্তু খুনের আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসীদেও ছেড়ে দিচ্ছে সরকার। সকলকে মুক্তি দিয়ে একটি ষুষ্ঠু পরিবেশ সৃস্টি করবেন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে।
এরপর ছাত্রদলের সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহসান।
অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদেও মধ্যে রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, আমান উল্লাহ আমান, আসদুজ্জামান আসাদ, এনামুল করিম, শামসুজ্জামান দুদু, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এ্যানী, হাবিবুন নবী খান সোহেল, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারি হেলাল,শফিউল বারি বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুজ্জামান খান আলীম, হাবীবুর রশীদ হাবীব এস এম ওবায়দুল হক নাসির, আবুল মনসুর খান দিপক, মাহিদুল হিরু হাসান, ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আর এ গনি, ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, তরিকুল ইসলাম, এম শামসুল ইসলাম,ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ, বেগম সারওয়ারী রহমান, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ, মীর মোহাম্মদ নাসির, এম এ মান্নন, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্মমহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, মাহাবুব উদ্দির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন , সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, বিএনপি সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী মনি ,মহিলাদলের সাধারন সম্পাদক শিরিন সুলতানা, আসিফা পাপিয়া এমপি, প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবদিন ফরুক, আবুল খায়ের ভূইয়া, এলডিপির চেয়ারম্যান ড.কর্ণেল অলি আহমেদ, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলুসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আখতার হোসেন খান, সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. মামুন আহমেদ, ড. ফখরুল আমিন, এবিএম ওবায়দুল, ড. আবুল হাসনাত, ড. তাহমিনা আক্তার, ড. গোলাম রব্বানি, ড. শাহনূর প্রমুখ।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!