নিজস্ব প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলে ফ্রিলান্সিংয়ের নামে নিষিদ্ধ অনলাইন স্ক্যামিং ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকার সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন এন্ড অপারেশনস টিম গত বৃহস্পতিবার ৭ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। পরে ডিএমপির পল্টন মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি ও প্রতারনার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।
সিআইডির মালিবাগ সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ পরিদর্শক এবং মামলার বাদি তানভীর হোসাইন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আসামীরা এখন জেলহাজতে রয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া স্ক্যামাররা হলো মধুপুর উপজেলার টেংরী গ্রামের হুমায়ুন কবীর, বোয়ালী গ্রামের সেলিম রানা, পিরোজপুর গ্রামের সানি আহমেদ ও রাজু আহমেদ, বোয়ালী আদালত পাড়ার আল আমীন হাসান এবং ঘাটাইল উপজেলার চকপাড়া গ্রামের রুবেল আহমেদ ও পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামের রাকিব খান।
ডিএমপির পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, ফ্রিল্যান্সিয়ের নামে অবৈধ স্ক্যামিং ব্যবসার খবর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারের পর উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়। এমতাবস্থায় গত ১ অক্টোবর নিয়মিত সাইবার মনিটরিং করা কালে টিম জানতে পারেন যে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ঘাটাইল উপজেলার একটি সংঘবদ্ধ চক্র ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে টিনএজার পর্নো এবং ক্লাসিফাইড এডল্ট ডেটিং সাইড নিয়ে স্ক্যামিং ব্যবসা ফেঁদে বিপুল পরিমান অবৈধ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশনের একটি টিম ওই দিন রাতেই ঝটিকা অভিযান চালিয়ে স্ক্যামিং করার সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও নানা আলামত জব্দসহ হাতেনাতে ৭ আসামীকে আটক করে। পরে সিএমএম কোর্টে চালান দিলে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার বাদি এবং সিআইডির উপ-পুলিশ পরিদর্শক তানভীর হোসাইন জানান, গত রবিবার আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানালে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। দুইএক দিনের মধ্যেই তাদেরকে রিমান্ডে আনা হবে। মামলায় নামধামসহ ৪৭জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫জনকে আসামী করা হয়েছে। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের আড়ালে স্ক্যামিং ব্যবসা করায় দেশের সুনাম নষ্ট করছে। সামাজিক ভারসাম্যও ব্যাহত হচ্ছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।