বর্তমান সরকারের আমলেই পদ্মা সেতু হবে উল্লেখ করে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর বাতি বছরের শেষ দিনেও জ্বলছে, আগামী বছরেও জ্বলবে। সোমবার সচিবালয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার জাতিকে হতাশ করতে চায় না,
দেশের মানুষের দাবি পদ্মা সেতু নির্মাণ, কীভাবে হল তা বড় বিষয় নয়, অর্থায়ন যেভাবেই হোক সরকারের বাকি মেয়াদকালে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা হবে।’
যোগাযোগমন্ত্রী জানান, দাতাদের বিষয়টি দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও ইআরডি (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ)।
অর্থ মন্ত্রণালয় যেদিন টাকা দেবে, সেদিন থেকেই সেতুর কাজ শুরু হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে এবং তার ‘যথেষ্ট’ প্রমাণ আছে- এমন দাবি করে গত ২৯ জুন প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি বাতিলের কথা ঘোষণা দেয় বিশ্ব ব্যাংক। তবে পরবর্তীতে অভিযোগ তদন্তে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হলে গত ২০ সেপ্টেম্বর আবারো অর্থায়নে ফিরে আসার ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
সে অনুযায়ী সরকার দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমানকেও ছুটিতে পাঠানো হয়।
পরে গত ১৪ অক্টোবর দুর্নীতির তদন্তে বিশ্ব ব্যাংকের একটি দল ঢাকায় আসে। সর্বশেষ লুই গ্যাব্রিয়েল মোরেনো ওকাম্পোর নেতৃত্বে দ্বিতীয় দল ঢাকায় আসে ২ ডিসেম্বর। তারা দুদকের সাথে একমত না হতে পেরে বুধবার ঢাকা ছেড়ে গেছে তারাও।
সাবেক যোগাযোমন্ত্রী আবুল হোসেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসানকে দুদক অভিযুক্ত করতে না চাওয়ার ব্যাপারটি বিশ্ব ব্যাংক দল মানতে চায়নি।
২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার কথা ১২০ কোটি ডলার। এছাড়া বাকি অর্থায়ন করার কথা ছিল জাইকা, এডিবি ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের। তবে বিশ্ব ব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করায় অন্য সংস্থাগুলোও ঋণচুক্তি স্থগিত করে।