নিজস্ব প্রতিবেদক :
কলেজ জীবনে বামধারার ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালে জাসদ ছাত্রলীগে বেশি করে হাত পাকান। ৮২ সালে দেশের দ্বিতীয় পার্লামেন্ট হিসাবে পরিচিত ডাকসুর কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর শাহবাগস্ত সিভিল অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে গবেষণা সহকারি হিসাবে চাকরি নেন। কিন্তু রাজনীতি যার ধ্যানজ্ঞান তার পক্ষে চাকরি করা হয়ে উঠেনি। এরপর নিজ এলাকা মধুপুর ফিরে এসে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। উপজেলা জাপার সভাপতি হিসাবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিজয়ী হন। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় তিনি মধুপুর-ধনবাড়ী উপজেলার মানুষের পাশে দাড়ান। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মক্তব, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণে অবদান রাখেন। তিনি মধুপুর ডিগ্রি কলেজ, শহীদস্মৃতি কলেজ, ধনবাড়ী ডিগ্রি কলেজ, ব্রাম্মণবাড়ী, আমবাড়ীয়া, কর্পোস খৃস্ট, সেন্টপৌলস, উখারিয়াবাড়ী, নল্লা, কদমতলী, বানিয়াজান, সখিনা মেমোরিয়াল এবং নরিল্ল্যা, বলদীআটা, রাধানগর, বানরগাছি, শালিখা, আশ্রা, গাংগাইর ও জটাবাড়ী মাদ্রাসার উন্নয়ন ও অবকাঠমো নির্মাণে সহযোগিতা করেন। তিনি ধনবাড়ীকে পৃথক উপজেলা করার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে প্রথম উত্থাপন করেন এবং প্রস্তাব গৃহিত না হওয়ায় ওয়াকআউট করেন। মধুপুর রাবার বাগান করার বিষয়ে তিনি যথেষ্ট অবদান রাখেন।
খন্দকার আনোয়ার ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগদান করেন। মূলতঃ তিনি সব সময় আওয়ামী বিরোধী ধারার রাজনীতি পছন্দ করেন। তিনি জেলজুলুমের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন। সম্প্রতি মধুপুর পৌরশহরের হোটেল নুরজাহানে দলীয় কর্মী, সংগঠক, সুহৃদ এবং মিডিয়াকর্মীদের নিয়ে এক ইফতার মাহফিলে মিলিত হন।
তিনি ইফতার অনুষ্ঠানে জানান, দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে এমপি পদে নির্বাচন করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। তিনি অনুষ্ঠানে মধুপুর-ধনবাড়ীর উন্নয়নে জনগুরুত্ব সম্পন্ন ১১ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩