আজ || বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  শতাব্দি পেরনো স্বর্ণজয়ী মানুষ ‘প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন’       অবশেষে গোপালপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত পরিবার সুচিকিৎসা পাচ্ছেন       গোপালপুর-ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চল এখন মাদক আর দুস্কৃতকারিদের অভয়ারণ্য       গোপালপুরে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে কৃষক সমাবেশ       খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান       গোপালপুর উপজেলা পরিষদ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা       গোপালপুরে কুরতুবী মাদ্রাসার উদ্ধোধন       সালাম পিন্টুর মুক্তির আনন্দে গোপালপুরে মোটরসাইকেল র‍্যালি       গোপালপুরে জাসাস এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন    
 


দেশের শহরাঞ্চলের প্রায় ৪ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে

দেশে শহর এলাকার মোট জনগোষ্ঠীর ৩ দশমিক ৮৮ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। জাতীয় পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ১১ ভাগ। এদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গ্রাম এলাকায় বর্তমানে এ হার শূন্য দশমিক ৪৫ ভাগ।

ইন্টারনেট ব্যবহারের এই হারকে অগ্রযাত্রা হিসেবে উল্লেখ করে তা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টার নির্দশক বলে মত দিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

রোববার দুপুরে ব্যুরোর সম্মেলনকক্ষে প্রকাশিত আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১ এর ধারাবাহিকতায় তৃতীয় আর্থ-সামাজিক সহায়ক প্রভাব প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের জনগণের সংবাদপত্র পড়ার হার আগের চেয়ে বেড়েছে । জাতীয় পর্যায়ে এ হার ১৫ দশমিক ২৫ ভাগ। গ্রাম এলাকায় ১২ দশমিক ৭৪ ভাগ এবং শহর এলাকায় ২৫ দশমিক ৮০ ভাগ পাঠক দেখানো হয়েছে।

আদমশুমারির সহায়ক প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় দেশের ৮৯ দশমিক ১ ভাগ মানুষ খাবার পানি হিসাবে টিউব-ওয়েল এবং ডিপ টিউব-ওয়েলের পানি পান করে করে যা ২০০৪ সালে ছিল ৫০ দশমিক ৯৭ ভাগ।

মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারের হারও বেড়েছে ৬১ দশমিক ৬ ভাগ। বিদ্যুৎ ব্যবহারের হার বেড়েছে উল্লেখ্যযোগ্য ৫৬ দশমিক ৬ ভাগ যা বিগত শুমারি জরিপ অনুযায়ী ছিল ৩৯ ভাগ ৭৭ ভাগ।

জাতীয় পর্যায়ে পুরুষ-নারীর অনুপাত ১০০:৯৯ দশমিক ৬৮ ভাগ। গ্রাম এলাকায় এর অনুপাত ১০০:৯৯ দশমিক ৯৭ ভাগ ও শহর এলাকায় এর অনুপাত ১০০:৯৮ দশমিক। অর্থাৎ ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ ৯৯ দশমিক ৬৮ ভাগ।

জাতীয় পর্যায়ে মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ১ ভাগ। এ হার অতীতের চেয়ে অনেক কম। গ্রাম এলাকায় এর হার ২ দশমিক ১৭ ভাগ এবং শহরে ১ ভাগ ৮৫ ভাগ।

মাতৃ মৃত্যুর হার কমানো এ সরকারের বড় সাফল্য। জাতীয় পর্যায়ে এর হার ২ দশমিক ১৮ ভাগ । গ্রাম এলাকায় এর হার ২ দশমিক ৪৪ ভাগ এবং শহর এলাকার হার ১ দশমিক ০৫ ভাগ। সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে এটি অন্যতম।

অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের হার ৯ দশমিক ৭ ভাগ এবং আন্তর্জাতিক স্থনান্তরের হার ৩ দশমিক ৪৬ ভাগ।

তবে বিভিন্ন প্রচার চালানো হলেও বাল্যবিবাহ বা অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহের প্রবণতা বেড়েছে।

এখন ছেলেরা গড়ে ২৩ বছর ৯ মাস বয়সে বিয়ে করছে আর ২০০৪ সালে ২৪ বছর ২ মাসে বয়সে বিয়ে করতো।

একই সঙ্গে মেয়েদের বাল্য বিবাহের হার বেড়েছে। বর্তমান গড়ে একটি মেয়ের ১৭ বছর ৫ মাসে বিয়ে হচ্ছে আর ২০০৪ মেয়েরা গড়ে বিয়ে করতো ১৯ বছর ৩ মাস বয়সে।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) মজিবর রহমান ফকির এমপি এসময় পরিসংখ্যান বিভাগের মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১ এর প্রকল্প পরিচালক অসীম কুমার দে।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!